রোগমুক্তি ও ওজন কমাতে জুস

fruit juice

সুস্থ-সুন্দর জীবনের পাশাপাশি অন্যের চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তুলতে কে না চায়! কিন্তু বাড়তি ওজন নিয়ে তাতো আর সম্ভব না।

শরীরের বাড়তি মেদ ঝেড়ে ফেলতে কত নিয়মকানুনই না আমরা মেনে চলছি। তবে শুধু নিয়মকানুন মেনে চললে হবে না, পরিবর্তন আনতে হবে খাদ্যাভ্যাসেও। সুষম খাদ্যের পাশাপাশি প্রতিদিন তাজা এক গ্লাস জুস খাওয়া শুরু করুন। প্রাকৃতিক জুস আপনাকে অনেক দ্রুত এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে আপনার ওজন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সাহায্য করবে।পাশাপাশি আপনার অনেক রোগের হাত থেকে ও রক্ষা করবে।

Fruit-Juice
বিভিন্ন ফলের জুস

তাজা ফলের রসের উপকারিতা:

ফাস্ট ফুডের উচ্চ ক্যালোরি খুব অস্বাস্থ্যকর। বার্গারের পরিবর্তে তাজা ফল ও সবজির রস পান করুন। এটি ওজন কমানোর সঙ্গে শরীরকে ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, এনজাইম এবং অন্যান্য পুষ্টির জোগান দেবে।

তাছাড়া টাটকা জুস বাড়িতে বা চোখের সামনে তৈরি করা হয় তাই এটি প্রিজারভেটিভ এবং রাসায়নিক পদার্থ থেকে মুক্ত। শুধু তাই নয় জুস আপনাকে তাৎক্ষণিক শক্তি দেয় এবং সারাদিনের ধকল সামলানোর জন্য প্রস্তুত করে।
শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত পদার্থ দূর করার পাশাপাশি লিভার পরিষ্কার করে ওজন কমাতে সাহায্য করে।

পালংশাক, পাতা কপি, সরিষা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, গাজর, বিট, টমেটো, শসা, লাউ সবচেয়ে বেশি পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সবজি। এগুলোর জুস আপনাকে দেবে ফুরফুরে অনুভূতি।

আপেল, ডালিম, পেঁপে, পীচ, এবং স্ট্রবেরি, ঘৃতকুমারী এবং আমলকির জুসও মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

ওজন কমানো ছাড়াও তাজা ফলের রস বিভিন্ন রোগমুক্তিতে সত্যিই টনিকের মতো কাজ করে।

ত্বক ও দাঁতের সমস্যা:

কচি গমের রসে ভিটামিন এ, বি, সি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, সালফার, কোবাল্ট এবং জিঙ্কের মত খনিজ পদার্থ রয়েছে যা ত্বক ও দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে।

যৌনরোগে:

আমন্ড বা কাঠবাদাম, চীনা বাদাম,পেস্তা বাদাম এবং পালং শাক ভিটামিন ই-এর জন্য জনপ্রিয়। এসবের জুস যৌনক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে এবং যৌনরোগ সারাতে সক্ষম।

রক্তাল্পতা:

বাঁধাকপি, গাজর, বীটের জুস পানে রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া) দূর হয়।
ক্ষুধামন্দায়:

গাজর রসের সাথে পানি এবং ঠান্ডা মাঠা এক্ষেত্রে কার্যকরী।

কাশি:

বাসক পাতার সাথে আদার জুস কাশিতে ব্যাপক উপকারী।

বাত :

সমান পরিমাণে গাজর এবং বীটের মিশ্রণের জুস বাতরোগ সানাতে সক্ষম।
হাঁপানি:

লেবুর রস এবং মধু হঁপানি (অ্যাজমা) নিয়ন্ত্রণে রাখে।

সিরোসিস:

আপেল, নাশপাতি ও আনারসের জুস সিরোসিস কমাতে সক্ষম।

কোলাইটিস:

গরম পানিতে পেঁপের জুস কোলাইটিস কমায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য:

পালংশাকের জুস বা স্যুপ, পেয়ারা ও নাশপাতির জুস কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখে্

ডায়াবেটিস:

শসা, পেঁয়াজ, রসুন,করলা ও লাউ জাতীয় সবজি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখে।জামের জুস ডায়াবেটিসের জন্য খুবই উপকারী।

উদারাময়:

কমলার রস, গাজরের স্যুপ এবং ডালিমের জুস উদারাময়ে (ডায়ারিয়া)উপকারী।

চুল পড়া:

বিভিন্ন শাকের সাথে লেটুস পাতার জুস চুল পড়া রোধ করে।

ক্লান্তিতে:

বীট, গাজর এবং শসার ক্লান্তি কমিয়ে দ্রুত চনমনে করে তোলে।

হৃদরোগে:

আমলকি রসের সাথে মধুর জুস হৃদরোগ কমায়।

উচ্চ রক্তচাপ:

রসুন, তরমুজ রস, আমলকি রস, শসার রস এবং সর্পগন্ধার রস উচ্চ রক্তচাপ কমায়।

নিম্ন রক্তচাপ:

বীটের জুস নিম্ম রক্তচাপে উপকারী।

বদহজম:

আনারস ও লেবুর রস বদহজম কমাতে সাহায্য করে।

অর্থসূচক/এমই/