
চুলের বিন্যাসে চিরুনি সেই আদিকাল থেকেই আবশ্যকীয় উপাদান। এমন কোনো ঘর নেই যে ঘরে চিরুনি নেই। হাল আমলে দেখা যায় একজন তরুণীর সজ্জার টেবিলে নান রঙের , আকারের চিরুনি থাকে। এমনকি খুব কম ফ্যাশন সতেচন এক তরুণ বা যুবকের পকেটেও এটার দেখা মিলতে পারে।
তবে সকলেই যে জিনিসটি শ্রী বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করেন সেই বস্তুটার শ্রী নিয়েও ভাবেন। কেবল শ্রী নয় কোন চিরুনি কতটা স্বাস্থ্যসম্মত তাও বিবেচ্য বিষয়।
মানুষ সাধারণত চিরুনি ব্যবহার করে চুল সোজা করার জন্য। চুলের নানা বিনুনিতেও চিরুনি আবশ্যক। আবার কখনও এটি চুল পরিষ্কারের কাজেও ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিনই আমরা এটি ব্যবহার করছি। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছি এই জিনিসের এত রূপ কেন?
আসুন জেনে নেই কোন ধরনের চুলে কি চিরুনি ব্যবহার করবেন-
১. রাউন্ড ব্রাশ বা গোল চিরুনি: বড় গোল চিরুনি দিয়ে খুব সহজেই ও সুন্দরভাবে চুল আঁচড়ানো যায়। যদি চুল অনেক ঘন ও লম্বা হয়, তাহলে এ ধরনের চিরুনি ব্যবহার করা ভাল। আর খোপা করার জন্য পার্লারে এই চিরুনিই বেশি ব্যবহার করা হয়।
২. প্যাডেল ব্রাশ: এ চিরুনি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। এটি কখনও লম্বা, কখনও ফ্লাট আবার কখনএ কম প্রস্তেরও হতে পারে। তবে কোঁকড়া চুলের জট ছাড়াতে এ ধরনের চিরুনি অনেক বেশি উপকারী।
৩. ভেন্টেড ব্রাশ: ছোট চুলের জন্য এ ধরনের চিরুনি খুব ভালো। চুল শুকানোর পাশাপাশি হেয়ার স্টাইল করার কাজেও এর কোনো বিকল্প নেই।
৪. কুশন ব্রাশ: এ ধরনের চিরুনি ডিম্বাকার বা গোলাকার দুটোই হতে পারে। সাধারণভাবে চুল আঁচড়ানোর জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। তাতে চুল সহজে ভাঙ্গেও না। তবে এটি সাধারণত লম্বা চুলের জন্য ব্যবহার করা হয়।
৫. ওয়াইড টুথড কম্ব বা মোটা দাতের চিরুনি: চুলের জট ছাড়ানোর জন্য এটিই আদর্শ চিরুনি। সকালবেলার চুলের জট ছাড়াতে মোটা দাঁতের এই চিরুনি ব্যবহার করলে চুল ভাঙ্গবে না। তবে কোন ধরনের হেয়ার স্টাইলের জন্য এই চিরুনি ব্যবহার করা হয়না।
৬. নরমাল কম্ব বা সাধারণ চিরুনি: এটি হচ্ছে সবচাইতে জনপ্রিয় ও সস্তা চিরুনি। এটি পানি শোধক না এবং ঠিক মতো ব্যবহার করলে সহজে ভাঙ্গেও না।
টি