
বর্তমানে তেলের দাম নিম্নমুখী। খুব শিগগির এ বাজার ঘুরে দাঁড়াবে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত ক্রুড শ্রেণির জ্বালানি তেলের দাম পৌঁছাতে পারে ব্যারেলপ্রতি ৭০ ডলার। তেল রপ্তানিকারকদের প্রতিষ্ঠান ওপেক এই পূর্বাভাসের কথা জানিয়েছে।
বিবিসির এক খবরে বলা হচ্ছে, ২০১৪ সালের মাঝামাঝিতে বিশ্ব বাজারে তেল বিক্রি হয়েছে ব্যারেলপ্রতি ১০৭ ডলারেরও উপরে। অতিরিক্ত সরবরাহ ও সে তুলনায় চাহিদা না থাকায় বর্তমানে তা নামতে নামতে ৩৭ ডলারেরও নিচে এসে ঠেকেছে।
ওপেক বলছে, আগামী বছরে তেলের বাজারে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করবে। আর ২০২০ সালের মধ্যে এ দাম উঠতে পারে ৭০ ডলারে। তবে তেল উৎপাদক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশগুলো প্রত্যাশার চেয়ে আরও বেশি ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতা অর্জন করায় এ সময়ের মধ্য তেল বাজারে ওপেকভুক্ত দেশগুলোর জনপ্রিয়তা কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তেল বাজারে ওপেকভুক্ত দেশগুলোর জনপ্রিয়তা কমে যেতে পারে
প্রতিষ্ঠানটির হিসাব মতে, বিশ্বে তেল উৎপাদনের পরিমাণ কমে এসেছে। ১৯৭০ দশকে যেখানে ৫০ শতাংশ তেল উৎপাদন হতো বর্তমানে তা কমে এসেছে প্রায় ৩০ শতাংশে। এর পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের শেল ওয়েলের বাড়তি উৎপাদন। এ কারণে ১১ বছরে সর্বনিম্ন দামে পৌঁছেছে এ বাজার।
ওয়ার্ল্ড ওয়েল আউটলুকের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, তেলের অব্যাহত দরপতনের সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে উৎপাদক দেশগুলো। এ মন্দা স্থায়ী হবে না। আগামী বছরে তেলের সরবরাহ কমে যেতে পারে। আর সরবরাহ কমতে শুরু করলে বাড়তে শুরু করবে দাম।