
বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নিয়ে নিউ ইয়র্ক স্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদনকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ। আজ রোববার বিজিএমইএ সূত্র এ তথ্য জানায়।
সংগঠনটি বলছে, বিজিএমইএ, আইএলও, শ্রমিক, ক্রেতাজোট, উন্নয়ন সহযোগী ও অন্যান্য সহযোগী মিলে যখন এই শিল্পকে নিরাপদ করতে কাজ করছি, তখন এরকম একটি প্রতিবেদন দুঃখজনক। প্রতিবেদনে অনেক সংখ্যা ও বিষয়ের ভুল ব্যাখ্যা আছে বলে আমাদের ধারণা।
এ নিয়ে আজ এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিজিএমইএ। এতে বলা হয়, প্রতিবেদনে যে ৭ হাজার কারখানার কথা বলা হয়েছে তাতে অনেক অনিবন্ধিত কারখানা আছে। যারা দেশিয় বাজারে চাহিদা মিটিয়ে থাকে। সেসকল কারখানা আমাদের রপ্তানিমুখী শিল্পের সাথে জড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। আমরা এসকল দেশীয় শিল্পগুলোকে মনিটরিং এ আনতে সরকারকে বহুবার বলেছি। এগুলোর মধ্যে শুধু পোশাক কারখানাই নয়, বরং এক্সেসরিজ, ওয়াশিং, প্রিন্টিং ইত্যাদি কারখানা রয়েছে; যেগুলো পোশাক কারখানায় সংজ্ঞায় পড়ে না, বা আমাদের সদস্য নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেজিস্টার্ড কারখানার বাইরে যেসকল কারখানা আছে, সেগুলোতে আনঅথরাইজড সাবকন্ট্রাক্টিং হয় বলে উল্লেখ আছে, কিন্তু বাস্তবতা হল যথাযথ প্রক্রিয়া অবলম্বন ছাড়া কেউ সাবকন্ট্রাক্টিং করতে পারে না। রানা প্লাজা ধসের পর এসব নীতিমালা কঠোর করা হয়েছে। “আনরেজিস্টার্ড সাবকন্ট্রাক্টিং” কারখানার অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য প্রতিবেদনে পিস্ ভিত্তিক পোশাক রপ্তানির একটি তথ্য দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই তথ্যের উৎস বিজিএমইএ বললেও তা সঠিক নয়। এরকম কোনো তথ্যই বিজিএমইএর ওয়েবসাইটে নেই। তদুপরি যেহেতু ইপিবি পিস্ ভিত্তিক রপ্তানি তথ্য প্রকাশ করে না তাই আমরা ইউ ও ইউএস এর অফিসিয়াল তথ্য বিশ্লেষণ করে ক্রোস চেক করেছি, কিন্তু সেখানেও এরকম বিশ্লেষণের সত্যতা মিলেনি।
প্রতিবেদনে রিমেডিয়েশন প্রক্রিয়ার ধীর গতি নিয়েও কথা বলা হয়েছে, কিন্তু কারখানাগুলো নিজ অর্থ বিনিয়োগ করেই রিমেডিয়েশন করছে। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো আর্থিক সাপোর্ট কেউ পায়নি, সেই বিষয়টি উল্লেখ করা উচিত ছিল।
বিজিএমইএর মতে, “Beyond the Tip of the Iceberg : Bangladesh’s forgotten Apparel Workers” শীর্ষক প্রতিবেদনটি শুধু এদেশের পোশাক খাতকেই নয়, এর সাথে জড়িত শ্রমিকদেরও অবমাননা করা হয়েছে। কারণ এদেশের শ্রমিকরা এখন অনেক সচেতন এবং আত্মবিশ্বাসী।
অর্থসূচক/মেহেদী