
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ী নেতাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মামলা প্রত্যাহার এবং ব্যবসায়ীদের মুক্তির দাবিতে অর্ধদিবস ধর্মঘট চলছে। আজ রোববার সকাল ৬টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়, দুপুর ২টা পর্যন্ত চলবে।

ধর্মঘটের কারণে শহরের সব ওষুধের দোকান বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। ধর্মঘটের সমর্থনে সকালে চট্টগ্রামের পাইকারি ওষুধের বাজার হাজারীগলি এলাকায় সমাবেশ করেছে কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি। ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন জরুরি ভিত্তিতে ওষুধ নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা।
কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সহসভাপতি নুরুল গনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের নামে ব্যবসায়ীদের নাজেহাল ও ক্ষতি করা হচ্ছে।
এসময় ওষুধ ব্যবসায়ী নেতাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে ১১ ব্যবসায়ী ও কর্মচারীকে মুক্তি দেওয়া না হলে আগামী দুই দিন পূর্ণদিবস ও পরে আরো কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।
গতকাল এক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মেডিকেলে ভর্তি হন জালামখান এলাকার বাসিন্দা আবু রায়হান। তার ভাই মুস্তাফিজ জানান, ডাক্তারের পরামর্শে প্রয়োজনীয় ওষুধ নিতে আজ হাজারীগলিতে গিয়েছিলাম। সেখানে ওষুধের সব দোকান বন্ধ রয়েছে। নগরীর অন্যান্য এলাকায়ও ওষুধের দোকান বন্ধ থাকায় এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় সব ওষুধ পাওয়া যায়নি।
তিনি আরও জানান, চট্টগ্রাম মেডিকেলের মেডিসিন কর্নারে গিয়েও কোনো লাভ হলো না। সেটি খোলা থাকলেও সেখানে সব ধরনের ওষুধ পাওয়া যায় না। মেডিকেলের রোগীরা এখানে ওষুধ না পেয়ে প্রায় সময় বাইরের দোকানগুলো থেকে ওষুধ কিনতে বাধ্য হন।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার চট্টগ্রামের হাজারীগলি ওষুধের পাইকারি দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলাকালে পুলিশের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ হয়। এরপর ১২ ব্যবসায়ী নেতাসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে জেলা প্রশাসন। ওই মামলায় ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।