

অস্ত্র-বিরতির উদ্যোগে হোঁচট খাওয়ায় ইসরায়েল নতুন করে গাজা উপত্যকায় হামাসনেতাদের বাড়ি টার্গেট করে বিমান হামলা চালাচ্ছে।
বুধবার আল জাজিরা ও এপির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে চলমান সংঘর্ষের নবম দিন বুধবার প্রথম একজন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।
অন্যদিকে ফিলিস্তিনের নিহতের সংখ্যা দুইশ’ ছাড়িয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৯ দিনের সংঘর্ষে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ২০৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যাদের চার-ভাগের তিন ভাগই নারী, শিশু ও বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া আহত হয়েছে ১৫ শতাধিক ফিলিস্তিনি।
গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, বুধবার ইসরায়েলি হামলায় ৭ জন নিহত হয়েছে। এদিন সকালে তারা হামাসের রাজনৈতিক নেতা মাহমুদ জাহারের বাড়ির ওপর হামলা চালিয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এপির এক খবরে বলা হয়েছে, গতরাতে হামাসের চার রাজনৈতিক নেতার বাড়ি টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সেনারা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, মিশরের মধ্যস্থতায় আনা সন্ধি প্রস্তাব হামাসের রকেট হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হবার পর ইসরায়েলেরও গাজায় বিমান হামলা বাড়ানোর ছাড়া আর কোনও পথ খোলা ছিল না। তিনি বলেন, যেখানে অস্ত্র-বিরতি নেই, সেখানে হামলাই হতে পারে একমাত্র জবাব।
এদিকে, হামাসের এক মুখপাত্র ওসামা হামদান বিবিসিকে বলছেন, তারা এই অস্ত্র-বিরতির পরিকল্পনার কথা গণমাধ্যম মারফত শুনেছেন। যেহেতু যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাদের কাছে প্রস্তাবটি পাঠানো হয়নি সে কারনেই প্রাথমিক ভাবে এটা নিয়ে আলোচনা করতে তারা অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষের অষ্টম দিনে গাজার বেশ কয়েকটি স্থানে, যেখান থেকে ফিলিস্তিনিরা রকেট হামলা চালায় বলে ধারনা রয়েছে সেখানে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
বিবিসি জানিয়েছে, গাজায় হামলায় পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় সেখানে দেখা দিতে শুরু করেছে পানির সংকট।
এদিকে, দাতা সংস্থাগুলো বলছে, ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজার পানি সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। ওই এলাকায় অচিরেই দেখা দিতে যাচ্ছে পানি সংকট।
গাজার হাজার হাজার মানুষ এখন অস্থায়ী শিবির গুলোতে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।
এস রহমান/