

মন্ত্রী আ.হ.ম. মুস্তফা কামাল।বুধবার পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি অডিটরিয়ামে ‘বাংলাদেশের উপজেলাগুলোতে ভূমি ব্যবহার’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দিতে ‘পল্লী জনপদ’ নামক প্রকল্প পাস করাতে যাচ্ছে। এই প্রকল্পের আওতায় বিচ্ছিন্নভাবে বসবাসকারী গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে একটি নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে এসে তাদের জন্যে সরকার ৪ তলা বিশিষ্ট ফ্ল্যাট তৈরি করে দিবে।
তিনি বলেন, প্রকল্পটির মাধ্যমে বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ গ্রামে সামগ্রিক নাগরিক সুবিধা দেওয়া হবে। এতে করে কৃষি জমি বেঁচে যাবে এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠী গ্রামে থেকেই শহরের সকল সুবিধা ভোগ করবে।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশ প্রতি বছর ১ শতাংশ হারে কৃষি জমি হারাচ্ছে। বর্তমানে উপজেলাভিত্তিক নগরায়ন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে দুটি বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সমগ্র উপজেলার মূল শহর ও গ্রোথ সেন্টারসহ সব গ্রামীণ জনপদকে নিয়ে ‘শহর প্রবর্তক এলাকা’ এবং কৃষি বা সমশ্রেণির ভূমি ব্যবহারের জন্যে ‘শহর উন্নয়ন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।
এসময় আরও জানানো হয়, উপজেলা নগরায়ন দুই স্তর বিশিষ্ট হতে হবে। ভৌত উন্নয়ন, অবকাঠামো ও নাগরিক সুবিধাদি নিয়ে ২০ বছর মেয়াদী স্ট্রাকচার প্ল্যান করা হবে। এতে নির্দিষ্ট এলাকার উন্নয়নের জন্য পলিসি নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়া নগরায়নের জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা, নিয়ন্ত্রণসহ এ জাতীয় কর্মসূচির জন্যে অ্যাকশন এরিয়া প্ল্যান নিতে হবে।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন নগর উন্নয়ন অধিদপ্তর ও পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগে যৌথ আয়োজনের এই কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ভূঁইয়া সফিকুল ইসলাম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. গোলাম রব্বানীসহ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এইচকেবি/ এমই/