ছাড়পত্র পাচ্ছে আমদানি নিষিদ্ধ ৩৪১ গাড়ি

car

জরিমানা দিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ছাড়পত্র পাচ্ছে আমদানি নিষিদ্ধ ৩৪১টি গাড়ি। পাঁচ বছরের বেশি পুরনো হওয়ায় চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দরে গাড়িগুলো দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখে শুল্ক বিভাগ।

car
সমুদ্রবন্দরে গাড়ি: ফাইল ছবি

সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জরিমানার শর্তে গাড়িগুলো ছাড়ার অনুমতিপত্র এনবিআরকে পাঠানো হয়েছে বলে অর্থসূচককে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দরে প্রায় সাড়ে তিন হাজার গাড়ি আটকে রয়েছে। এর মধ্যে ৩৪১টি গাড়ি রয়েছে আমদানি নিষিদ্ধ। যা ৫ বছরেরও বেশি সময়ের পুরনো। তবে সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে ওই গাড়িগুলোকে জরিমানা আদায়ে ছাড়পত্র দেওয়ার চিঠি পাঠানো হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, আমদানি নীতির ব্যত্যয় ঘটিয়ে আনা গাড়ি ছাড়করণের ব্যাপারে সিপি দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আর এনবিআর জরিমানা আদায়পূর্বক এসব গাড়ি খালাসের অনুমতি দেবে।

এর আগে, আমদানি নিষিদ্ধ হওয়ার পরও দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় এসব গাড়ির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে একাধিকবার অনুরোধ করে এনবিআর।

এনবিআরের শুল্ক ও নিলাম বিভাগের পক্ষ থেকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট গাড়িগুলো নিলাম করা হলে এই খাতে সরকার প্রায় ২৫ কোটি টাকার রাজস্ব পাবে।

এনবিআর সূত্র জানায়, ২০১২-১৩ অর্থবছরে আমদানি করা ৩৪১টি গাড়ি আটকে পড়ে আছে চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দরে। বিভিন্ন সময় আমদানিযোগ্য গাড়ির সাথে ৫ বছরের অধিক পুরনো এসব গাড়ি নিয়ে আসে ব্যবসায়ীরা। এর মধ্যে ২০০৫ মডেলের গাড়ি সবচেয়ে বেশি। কিছু গাড়ি রয়েছে যেগুলো ৭ থেকে ১৫ বছরের পুরনো।

আমদানি নীতি আদেশ ২০০৯-১২ ও ২০১২-১৫ এর বিধান অনুযায়ী ৫ বছরের অধিক পুরনো গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ। ফলে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় খালাস দিয়ে এগুলো থেকে শুল্ক-কর আদায় সম্ভব নয়। তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বিবেচনায় গাড়িগুলোর সমস্যা সমাধান ছাড়া কোনো উপায় না থাকায় মন্ত্রণলায়কে চিঠি দেয় এনবিআর।

চিঠিতে বলা হয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বিবেচনায় ওই গাড়িগুলো নিলামে তোলার ক্ষেত্রে অনাপত্তি পাওয়া গেলে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় হবে। তা ছাড়া এক্ষেত্রে জরিমানা আরোপ করে ছাড়পত্র দিলেও অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে।

এসএম/এমই