

বাংলাদেশে ভূমিকম্প ঝূঁকি বিষয়ক প্রচারণা শুরু করেছে সিমেক্স সিমেন্ট। বৃহস্পতিবার রাজধানীর রাজউক ভবনে এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হয় ।
অনুষ্ঠানটিতে রাজউকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বুয়েটের প্রফেসর ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী।
মুল প্রবন্ধে ড. মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেন, ভূমিকম্পের প্রভাবের ধারণাশক্তি, ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে ভূমিকম্প প্রতিহতকারী গঠনের প্রতি লক্ষ্য রাখা, ভূমিকম্প মোকাবেলার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া এবং জীবন ও সম্পদ রক্ষার জন্যে করণীয় বিষয়সমূহ নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করেন ।
অনুষ্ঠানে সিমেক্স বাংলাদেশের বাণিজ্যিক পরিচালক, ইঞ্জিনিয়ার মো: এনামুল ইসলাম, তার প্রতিষ্ঠানের উপর উপস্থাপনার সময় ভবনের নিরাপত্তার উপরে জোর দেন।
প্রসঙ্গত, সিমেক্স বাংলাদেশ ২০১২ সাল থেকে সিএসআর কর্মসূচির আওতায় “ভূমিকম্প সচেতনতা অভিযান” চালিয়ে আসছে। স্কুল ও কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে ও এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষে এই কর্মসূচির সুচনা করা হয়। ভূমিকম্পের মত ভয়ানক দুর্যোগ মোকাবেলা করা এবং তাদের পরিবার পরিজনদেরকে এ বিষয়ে সচেতন করতে পারার দিকে বিশেষ জোর দেয়া হয়েছে এই অভিযানে । সিমেক্স বাংলাদেশ এ পর্যন্ত তাদের ঢাকা ও নারায়ানগঞ্জ স্থাপনা সংলগ্ন ৪টি স্কুল ও কলেজে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে ।
সিমেক্স গ্লোবালের বাংলাদেশে যাত্রা শুরু হয় ২০০০ সাল থেকে । ইউরোপিয়ান অত্যাধুনিক এফ এল এস প্রযুক্তি দ্বারা তৈরী সিমেক্স বাংলাদেশের নারান্গঞ্জে অবস্থিত কারখানার উৎপাদন ক্ষমতা ৫৫০,০০০ মেট্রিক টন। সিমেক্স বাংলাদেশ তাদের মানসম্পন্ন পণ্য, পরিবেশবান্ধব উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং সিমেক্স গ্লোবালের সব রকম নির্ধারিত মান মেনে চলার ক্ষেত্রে বহুল স্বীকৃতি অর্জন করেছে।