

মঙ্গলবার দুপুরে অ্যাটর্নি জেনারেল (এজি) কার্যালয়ে তৃতীয় দফা তদন্তের পৃথক অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সাত সদস্যের কমিটি, পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি), র্যাব ও সিআইডি।
তদন্ত কমিটির সদস্য ও আইন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মিজানুর রহমান খান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
তিনি জানান, এজি কার্যালয়ের পক্ষে প্রতিবেদনগুলো গ্রহণ করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ.এস.এম. নাজমুল হক। তদন্তের স্বার্থে আবারও চার সপ্তাহের জন্য সময় চাওয়া হয়েছে।
মিজানুন রহমান বলেন, ৩৩৫ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে সাত খুনের সাথে জড়িতদের সম্পর্কে আমরা ধারণা পেয়েছি। তবে কেন, কী কারণে এটি করা হয়েছে? তা উদঘাটনে আরও তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক, র্যাবসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে তথ্য চেয়েছে তদন্ত কমিটি। সব তথ্য পেলে তদন্ত শেষ হবে।
তিনি জানান, বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের বেঞ্চে এই প্রতিবেদন উপস্থাপনের তারিখ রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণ করা হয়। এর তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ পাওয়া যায়।
ময়না তদন্তে জানানো হয়েছিল, অপহরণের পরপরই ওই সাতজনকে খুন করা হয়।
অপহরণের পর নজরুলের পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নূর হোসেনকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়। মামলার পর অভিযোগ অস্বীকার করে সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য দেন নূর হোসেন। কিন্তু তাদের মরদেহ উদ্ধারের পর পালিয়ে যায় নূর হোসেন।
র্যাবকে ৬ কোটি টাকা দিয়ে ওই সাতজনকে খুন করিয়েছে বলে নূর হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন এবং লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম.এম. রানাকে বাধ্যমূলক অবসর দেওয়া হয়। এরপর ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি নূর হোসেন ও তার দুই সহযোগী গত কয়েকদিন আগে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের হাতে আটক হয়।
এমই/