

তবে গ্রামীণ জনপদের মানুষের ওপর এটি বাড়তি বোঁঝা হয়ে দাঁড়ায় কিনা তা নিয়েও চিন্তিত এনবিআর। বিশেষ করে শ্রমজীবী ও স্বল্প আয়ের মানুষের ক্ষেত্রে এটি বড় কোনো প্রভাব ফেলে কিনা সেটি একটু ভাবনার বিষয়।
সব দিক চিন্তা করে অর্থমন্ত্রণালয়কে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে সরকারের কোষাগারের দায়িত্বরত সংস্থাটি। এ লক্ষ্যে এনবিআর অর্থমন্ত্রীর কাছে একটি সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছে।
সারসংক্ষেপে চলতি অর্থবছরে (২০১৪-১৫) সিম কার্ড ব্যবহারের ওপর শিক্ষা উন্নয়ন সারচার্জ নামে বিশেষ কর আরোপের কথা বলা হয়েছে।
সারসংক্ষেপে বলা হয়, প্রতিটি সিমের বিপরীতে প্রতিদিন একটাকা সারচার্জ নেয়া হলে এর পরিমান দাড়াঁবে চার হাজার কোটি টাকা। তবে ১১ কোটি সিমের মধ্যে অনেক সিম ব্যবহৃত হয় না। আবার গ্রামের অনেক দরিদ্র মানুষও মোবাইল ব্যবহার করে। মাসে প্রতিটি সিমের বিপরীতে ৩০ টাকা সংগ্রহ করা হলে সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রী কোনো দিকনির্দেশনা দিলে সেটিকে কার্যকরের উদ্যোগ নেবে এনবিআর।
এদিকে মোবাইলের সব ধরনের সেবার ওপর এক শতাংশ হারে সারচার্জ আরোপ করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর নাম দেয়া হয়েছে উন্নয়ন সারচার্জ।
এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। তার অনুমোদনের পরই মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হবে। এর পর এনবিআরের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারী করে বাস্তবায়ন করা হবে।
এনবিআর সূত্র জানায়, সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে মোবাইলের সেবার ওপর সারচার্জ আরোপ করছে এনবিআর। এজন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের অনুমোদনও নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে ভ্যাট বিভাগ। এ খাত থেকে চলতি অর্থবছরে ২৫০ কোটি টাকা আহরণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ অর্থ গ্রামীণ অতিদরিদ্রদের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।
এইউ নয়ন
এইউ নয়ন