
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ সাবেক তিন কর্মকর্তাকে ছয় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিন দশক আগে ফলাফল জালিয়াতির মাধ্যমে পাস করিয়ে দেওয়ায় তাদেরকে এই দণ্ড দিয়েছেন চট্টগ্রাম আদালত।

তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর (বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন) দায়ের করা পৃথক দুটি মামলায় মঙ্গলবার এই রায় দিয়েছেন বিভাগীয় বিশেষ জজ এস.এম. আতাউর রহমান।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-সাবেক পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জি.এম. লতিফ খান, সাবেক উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হাবিবুর রহমান ও সেকশন অফিসার নাসির উদ্দিন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৩ সালে ফলাফল জালিয়াতিতে ৫ জন শিক্ষার্থী এবং ১৯৯৩ সালে ৪৮ জন শিক্ষার্থীকে নম্বর ফর্দ ও সনদ সরবরাহসহ পাস করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই তৎকালীন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জি.এম. লতিফ খানসহ সাবেক তিন কর্মকর্তাকে এই রায় দেওয়া হয়।
এই দুটি ঘটনায় ১৯৯৭ সালের ৩০ নভেম্বর হাটহাজারী থানায় মামলা দুটি দায়ের করেন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর তৎকালীন উপ-পরিচালক নুরুল হুদা আজাদ। ২০০২ সালের ২৫ নভেম্বর অভিযোগ (চার্জ) গঠন করা হয়।
বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ১৯৮৩ সালের ঘটনায় ৮ জন এবং ১৯৯৩ সালের ঘটনায় ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে উভয় ঘটনায় প্রত্যেককে তিন বছর করে ছয় বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এমএস/এমই/