

রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) শ্রম আইন- ২০১৪’র খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এই আইনের খসড়া অনুযায়ী সমিতির মাধ্যমে ইপিজেড শ্রমিকদের দর-কষাকষি করার ক্ষমতা থাকবে। আর এ আইন চুড়ান্ত হলে শ্রমিকরা নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে দর-কষাকষির জন্য শ্রমিক কল্যাণ সমিতি করতে পারবেন।
তিনি বলেন, সমিতি করার জন্য সংশ্লিষ্ট কারখানার ৩০ শতাংশ শ্রমিককে ইপিজেড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করতে হবে। এরপর আবেদনকারীদের মধ্যে ভোট হবে। তাদের ৫০ শতাংশ যদি সমিতির পক্ষে থাকে, তাহলে সমিতি হবে।
সচিব আরও বলেন, এই আইন হলে শ্রমিকদের অধিকার বাড়বে। আইনটি বাংলাদেশ শ্রম আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিন্তু অভিন্ন নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইপিজেড শ্রম আইনের খসড়ার ১৬টি অধ্যায়ের ২০৪টি ধারায় শ্রমিকদের নিয়োগ, চাকরির শর্তাবলি, প্রসূতি সুবিধা, কাজের পরিবেশ, কর্মঘণ্টা, মজুরি, ইপিজেডের শ্রম আদালত গঠনসহ বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
বৈঠকে ইপিজেড আইন ছাড়াও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আইনের খসড়া এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) আইনেরও খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।