

নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিয়েছে কংগ্রেস। তবে হারের পিছনে গান্ধী পরিবারের উত্তরসূরি রাহুলের একক দায় নেই বলে জানিয়েছে দলটি। শতবর্ষী দলটি নির্বাচনের ফলাফলকে ভারতবাসীর রায় ও সামষ্টিক দায় হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। আর বিজয়ে আনন্দে ভাসছে বিজেপি। খবর এনডিটিভির।
এই পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে কংগ্রেস পেয়েছে ৩৩৭ টি আসনে এগিয়ে আছে ভারতীয় জনতা দল। আর কংগ্রেস মাত্র ৬০ টিতে এগিয়ে আছে। এই হিসেবে দিল্লী থেকে পাঁচ বছরের জন্য পতন ঘটতে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন ইউপিএ জোটের সরকার। তাই আগে থেকেই পরাজয় স্বীকারের বুলি আওরে বেড়াচ্ছেন কংগ্রেস নেতারা। মানে কংগ্রেস মেনে নিয়েছে এই পরাজয়।
অবশ্য না মেনে উপায় নেই। কেননা ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ করার কারণে ওই দেশে কারচুপির অভিযোগ নেই। বলতে গেলে পরাজয় স্বীকার করা এক ধরনের আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। তবে এই পরাজয়ের জন্য রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বের ব্যর্থতাকে দায়ী মনে করছেন না দলটির নেতারা, বরং এই রায়কে সামষ্টিক দায় বলে মেনে নিয়েছেন তারা।
এই প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা সত্যব্রত চতুর্বেদী বলেন, রাহুলের একার দায় নয়, এ আমাদের সামষ্টিক পরাজয়।
বিজেপির বিজয় সম্পর্কে আরেক নেতা রাজীব শুক্লা বলেন, মোদি ভারতকে বৃহস্পতি ও শনি এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছে। ভারতবাসী এই স্বপ্নেই বুঁদ হয়ে আছে।
তবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার কংগ্রেস কি পদক্ষেপ গ্রহণ করছে সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। ব্যর্থতার দায়ে দল পুনর্গঠন নাকি নতুন কোন পরিকল্পনা সে সম্পর্কে জানা যাবে আরও পরে। তবে আপাতত বিরোধি দলের দায়িত্ব পালনে রাজি আছে কংগ্রেস। দলীয় মুখপাত্র রাজীব শুক্লা বলেন, আমরা পরাজয় মেনে নিয়েছি এবং বিরোধি দলের দায়িত্ব পালনে রাজি আছি।
এদিকে আরেক খবরে জানানো হয়েছে, এই বিজয়কে ভারতের নতুন যুগে পদার্পণ বলে অভিহিত করেছে বিজেপি। এক টুইটার বার্তায় মোদি বলেন, ভারতের জয় হয়েছে।
বিজেপির আরেক নেতা প্রকাশ জাবেদাকার বলেন, এই জয় ভারতের পরিবর্তনের সূচনা। ভারতবাসী এবার বিপ্লব ঘটিয়েছে এবং এই বিপ্লব ভারতে নতুন যুগ আনয়ন করবে।