

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের মামলায় আপিলের শুনানি ১৮মে শুরু হবে।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজ্জাম্মেল হোসেইন নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, কামারুজ্জামানের পক্ষে আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, তাজুল ইসলামসহ প্রমুখ আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া ফাঁসির আদেশ থেকে খালাস চেয়ে গত বছরের ৬ জুন আপিল করেন কামারুজ্জামান। তবে কামারুজ্জামানের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেননি রাষ্ট্রপক্ষ। ২৯ সেপ্টেম্বর আপিলের সার-সংক্ষেপ জমা দেন আসামিপক্ষ।
১২৪টি যুক্তিতে আপিল করেছেন আসামিপক্ষ। তাদের মূল আবেদন ১০৫ পৃষ্ঠার। এর সঙ্গে দুই হাজার পাঁচশ’ ৬৪ পৃষ্ঠার আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। গত বছরের ৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।
কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৭টি অভিযোগের মধ্যে ৫টিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
অভিযোগগুলোর মধ্যে ১, ২, ৩, ৪ ও ৭ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত এবং ৫ ও ৬ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে রায়ে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ দুটি অভিযোগ করা হয়েছে যথাক্রমে সোহাগপুর গণহত্যা ও মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফাকে হত্যার দায়ে।
এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার দণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আপিল করে। আপিলের ওপর শুনানি শেষে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ কাদের মোল্লাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেন। পরে কাদের মোল্লার দণ্ড কার্যকর হয়।
কেএফ