

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) আগামি কমিশন বৈঠকে চূড়ান্ত অনুমোদন পাবে আইপিওতে আবেদনপত্রও টাকা জমা নেওয়ার নতুন পদ্ধতি।আর এ মাসের শেষভাগে কোনো কোম্পানি প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন পেলে সেটি দিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হবে এ পদ্ধতি। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, নতুন পদ্ধতি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে আরও এক ধাপ এগিয়েছে। বিএসইসির চাওয়ার প্রেক্ষিতে এপদ্ধতির পাইলট প্রকল্পে অংশ নিতে আগ্রহী ব্রোকারহাউজের নাম জমা দিয়েছে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ।পাশাপাশি প্রস্তাবিত পদ্ধতির বিষয়ে নিজেদের মতামতও দিয়েছে তারা।এসব পর্যালোচনা করে পদ্ধতিটির রূপরেখার খসড়া চূড়ান্ত করছে বিএসইসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ।বাকী শুধু কমিশনের চূড়ান্ত অনুমোদন। আর সেটিই হবে কমিশনের আগামি বৈঠকে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, পাইলট প্রকল্পের জন্য দুই স্টক এক্সচেঞ্জের দেওয়া নাম থেকে বাছাই করে ১০ থেকে ১২ টি প্রতিষ্ঠানকে আইপিও’র আবেদন ও টাকা জমা নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিজ হাউজকে অগ্রাধিকার পাবে।
কারণ হিসাবে সূত্র বলছে, বড় হাইজগুলো বেশি গ্রাহককে সেবা দিয়ে থাকে। যেহেতু এটি একটি নতুন পদ্ধতি তাই বিএসইসিও চায় অনেক বেশি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে কার্যক্রম শুরু করতে।
উল্লেখ, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিএসইসি নতুনপদ্ধতি চালু করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রথমে পাইলট প্রকল্প হিসেবে এ পদ্ধতি চালু করা হবে। এতে কোনো ত্রুটি-বিচ্যুতি ধরা পড়লে তা সংশোধন করে সব কোম্পানির ক্ষেত্রে এটি বাধ্যতামূলক করা হবে।
বর্তমান পদ্ধতিতে আইপিওর মাধ্যমে শেয়ার বেচতে আগ্রহী কোম্পানি কয়েকটি ব্যাংককে তাদের হয়ে আবেদনপত্র ও শেয়ারের টাকা সংগ্রহের দায়িত্ব দেয়। এর বিনিময়ে তারা একটি কমিশন (জমাকৃত প্রতি ১০০ টাকায় ১০ পয়সা হিসেবে) পেয়ে থাকে। প্রস্তাবিত পদ্ধতিতে ব্যাংকের পরিবর্তে ডিপোজিটরি পার্টিসিপেন্ট বা ডিপি আবেদনপত্র জমা নেবে। আর শেয়ারের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ আগে থেকেই জমা থাকবে ডিপির কাছে। লটরিতে কোনো বিনিয়োগকারী কৃতকার্য হলেই ডিপি তার কাছে সংরক্ষিত অর্থ সংশ্লিষ্ট কোম্পানির একাউন্টে জমা করে দেবেন। ফলে অর্থ ফেরতের (রিফান্ড) কোনো জটিলতা থাকবে না। সব মিলিয়ে বিনিয়োগকারীরা ঝামেলাহীনভাবে আইপিওর আবেদন করতে পারবেন। আর এ প্রক্রিয়া শেষ করতে সময়ও লাগবে কম।