

লেনদেনের শুর থেকেই সূচকে অস্থিরভাব লক্ষ করা যায় সোমবার। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচকের অস্থিরভাবের লেনদেনের সমাপ্তি ঘটে। তবে আগের দিনের তুলনায় লেনদেনের পরিমাণ বেড়েছে ডিএসইতে। আর লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, গত সপ্তাহ থেকেই বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কে রয়েছে বাজার নিয়ে। সেই আতঙ্কেই গতকাল বাজারে বড় ধরণের পতন ঘটে। আজও দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে দিয়ে বাজারে লেনদেন করেছে বিনিয়োগকারীরা। সেই কারণেই সূচকের অস্থির অবস্থায় শেষ হয়েছে লেনদেন।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার দিনের শুরু হয় সূচকের পতন দিয়ে। ডিএসই প্রধান সূচক ৪ হাজার ৪৯৮ পয়েন্ট থেকে নেমে ৪ হাজার ৪৯৫ পয়েন্টে চলে আসে লেনদেন শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিটের মাথায়। এর পর থেকে উঠতে চেষ্টা করে বাজার। কয়েক মিনিটের মাথায় আবার সূচক বেড়ে ৪ হাজার ৫০৫ পয়েন্টের কাছাকাছি চলে যায়। তবে বেলা সাড়ে এগারোটা অর্থাৎ এক ঘণ্টা লেনদেন শেষে দেখা যায় প্রধান সূচক দশমিক ৬৯ পয়েন্ট বেড়েছে। এর পর থেকেই লেনদেনের পুরোটা সময় সূচকে অস্থিরভাব বিরাজ করে। বেলা দুইটার কাছাকাছি সময়ে সূচক নেমে আসে ৪ হাজার ৪৯০ পয়েন্টে। তবে লেনদেন শেষে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৪৯৭ পয়েন্টে। যা আগের দিনের তুলনায় ১ দশমিক ২২ পয়েন্ট কম।
অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস সূচক বেড়েছে দশমিক ৬৪ পয়েন্ট। আর ডিএস৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৬৩৭ পয়েন্টে।
তবে ডিএসইতে এই দিন লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। আগের দিনের তুলনায় ১৬ কোটি টাকার শেযার লেনদের বেশি হয়েছে এই দিন। মোট লেনদেন হয়েছে ২৮৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৯টির কমেছে ৯৬টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির।
টাকার পরিমাণে লেনদেনের শীর্ষ দশ কোম্পানি হচ্ছে- গ্রামীণফোন, মতিন স্পিনিং, লঙ্কাবাংলা ফিন্যান্স, এমবিএল ফাস্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, স্কয়ারফার্মা, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, সিভিও পেট্রোকেমিক্যালস, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট লিমিটেড, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস কোম্পানি লিমিটেড এবং এমারেল্ড অয়েল।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সিএসই সার্বিক সূচক ৩৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৮৭৯ পয়েন্টে। আর মোট লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২১৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৭৬টির কমেছে ১১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির।
অর্থসূচক/এমআরবি/