

নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় র্যাব কর্মকর্তা জামাতার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে নানা মহল থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে। আর এই ঘটনায় পর মন্ত্রিসভার পরপর দুটি বৈঠকে যাননি তিনি।
সোমবার সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন এই মন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে অনুপস্থিতির বিষয়টি আগে জানানোর নিয়ম থাকলেও সে রকমও কিছু করেননি তিনি।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার শরীর ভালো নেই এই কারণে আমি ক্যাবিনেট মিটিংয়ে যোগ দিতে পারিনি।
মায়ার একান্ত সচিব মো. আবু তাহের জানান, আজ বিকেলে মন্ত্রণালয়ে যাবেন মন্ত্রী। রোববার জাতীয় সংসদে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় মন্ত্রী অংশ নিয়েছেন। বিদেশ থেকে ফিরে রোববার বিকেলে এবং এর আগেও একদিন সচিবালয়ে অফিস করেছেন তিনি। মন্ত্রী সবগুলো সিডিউল অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন। একটি অনুষ্ঠানও মিস করেননি। ফাইলপত্রও নিয়মিত সই করছেন।
তবে সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনে মায়ার ২০৫ নম্বর কক্ষটি সোমবার সকাল থেকে তালাবদ্ধ দেখা গেছে। মন্ত্রীর পাশের কক্ষেই তার সহকারী একান্ত সচিব এ এস এম সহিদুল ইসলাম মিলনের কক্ষে দুটি টেবিলেও কাউকে দেখা যায়নি। দরজা খোলা কক্ষে দুটি ফ্যান চলছিল।
তাহের জানান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে মেক্সিকোতে পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে গত ৫ মে দেশে ফেরেন মায়া।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে অপহরণের তিন দিন পর শীতলক্ষ্যা নদীতে তাদের লাশ ভেসে ওঠে। লাশ উদ্ধারের আগের দিন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা তারেক সাঈদ মোহাম্মদকে র্যাব-১১ এর অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে সেনাবাহিনীতে পাঠানো হয়।