

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহার নতুন নয়। এরই ধারাবাহিকতায় লন্ডন পুলিশের সাথে যুক্ত হচ্ছে ওয়্যারেবল ক্যামেরা। অপরাধ দমন, অনুসন্ধান ও জনসাধারণের দুর্ভোগ কমাতেই এই আধুনিক সংযোজন। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যে পুলিশের এই বিভাগের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। খবর ব্লুমবার্গ নিউজের।
এই ক্যামেরাটি সাইজে স্মার্টফোনের মতো। পুলিশ সদস্যদের ইউনিফর্মে বুকের কাছে এটি ঝুলানো থাকবে এবং এতে থাকবে স্বয়ংক্রিয় রেকর্ডিংয়ে ব্যবস্থা।
লন্ডন পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ৫০০ ক্যামেরা যুক্ত করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে এই সংখ্যা বাড়ানো হবে। এই ক্যামেরাটি পুলিশ সদস্যের চোখের দৃষ্টিসীমার মধ্য সবকিছ ধারণ করতে সক্ষম।
তবে পুলিশ বাহিনীতে ক্যামেরা ব্যবহারর ঘটনা পৃথিবীতে নতুন নয়। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, ক্যালিফোর্নিয়া, নিউ অরলিন্সসহ একাধিক অঙ্গরাজ্যের পুলিশ সদস্যরা আগে থেকেই এই ক্যামেরা ব্যবহার করে আসছেন।
বিশ্বখ্যাত আগ্নেয়াস্ত্র নির্মাতা কোম্পানি টাসের ইন্টারন্যাশনাল এই ক্যামেরাগুলো বাজারজাত করছ। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে এই ক্যামেরা ব্যবহারের কারণে সাধু বনে গেছেন পুলিশ সদস্যরা। ক্যালিফোর্নিয়ায় এই ক্যামেরার কারণে পুলিশের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অভিযোগের পরিমাণ ৮৮ শতাংশ কমে গেছে। এছাড়াও ফোর্স ব্যবহারের সংখ্যাও কমে এসেছে প্রায় ৫৯ শতাংশ।
আমাদের দেশে পুলিশকে জনগণের বন্ধু বলা হলেও আদতে তা কাজীর কেতাবি গরুর মতই। এই অবস্থার পরিবর্তনের অন্যতম উপায় হতে পারে এই ক্যামেরা।