

আগামি ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে বাজেটে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) সংক্রান্ত নয়টি প্রস্তাব করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাট্রিজ (এফবিসিসিআই)। উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের অনুকরণে মূসক ও সম্পূরক শুল্ক আইন-২০১২ সংশোধন, স্থানীয় শিল্পে সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার, ব্যবসায়ী পর্যায়ে প্যাকেজ ভ্যাট অব্যাহত রাখাসহ আমদানি পর্যায়ে সুপার সপগুলোর মূসক পূর্ণবিন্যাসের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শ কমিটির ৩৫তম সভায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে প্রস্তাব পেশ করেন সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ।।
এসময় তিনি বলেন, জাতীয় স্বার্থে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প খাতকে কর বান্ধব করা আবশ্যক। তাই চীন, জাপান ইউরোপসহ উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে মূসক পদ্ধতির আলোকে মূসক ও সম্পুরক শুল্ক আইন-২০১২ যথাযথভাবে সংশোধন করতে হবে।
দ্বিতীয় প্রস্তাবে তিনি বলেন, যে সমস্ত খাত বা ব্যাক্তির পক্ষে গ্রহণের সুযোগ নেই সে সকল খাতে বিক্রয় মূল্য হতে উপকরণ মূল্য বাদ দিয়ে মূল্য সংযোজিত অংশের ওপর মূসক আদায় করতে হবে। আর এজন্য বিভিন্ন খাত ভিত্তিক মূসক হার ধার্য করতে হবে। তিনি এ সময় চীন, ভারত জাপান, বেলজিয়াম, যুক্তরাজ্যসহ কয়েকটি দেশের মূসক হারের কথা উল্লেখ করেন।
তৃতীয় প্রস্তাবে দেশের অর্থনীতির উন্নয়ের স্বার্থে বিনিয়োগ ও কর্ম সংস্থান উৎসাহিত করতে এবং স্থানীয় শিল্পকে প্রতিযোগিতায় আনার জন্য উৎপাদনের স্তরে সকল খাতে আরোপিত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে।
চতুর্থ প্রস্তাবে এক কোটি পর্যন্ত শূন্য হারে এবং এক কোটি টাকা হতে তিন কোটি টাকা পর্যন্ত বার্ষিক টার্ন ওভারের ওপর দুই শতাংশ হারে টার্নওভার কর ধার্য করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
পঞ্চম প্রস্তাবে দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে লাখো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ভ্যাট প্রদানে উৎসাহী এবং অভ্যস্ত করার জন্য ব্যবসায়ী পর্যায়ে প্যাকেজ ভ্যাট অব্যাহত রাখতে হবে।
ষষ্ঠ প্রস্তাব- বর্তমানে সুপার স্টোর সমূহের ক্ষেত্রে আরোপিত ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ মূল্য সংযোজন হিসাবে দুই শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। সে হিসাবে আমদানী পর্যায়ে একই হারে মূসক ধার্য করতে হবে।
সপ্তম প্রস্তাব- হয়রানি বন্ধ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কেবল মাত্র কমিশনের প্রাপ্ত অভিযোগ বা তথ্য এবং দ্বৈব-চয়নের ভিত্তিতে অনুসন্ধান ও নীরক্ষা পর্যালোচনা করতে হবে।
অষ্টম প্রস্তাব- মাঠ পর্যায়ে সুনির্ষ্টি অভিযোগ অথবা নিজস্ব প্রাপ্ত তথ্য ব্যাতীত ঢালাওভাবে যানবাহন আটক বা তল্লাশী করা যাবে না।
সবশেষে এফবিবিসিআইয়ের চেয়ারম্যান সংগঠনের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত নবম প্রস্তাবে বলেন, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, ব্যাংকিং ও পরিবহন এ কয়েকটি হচ্ছে জাতীয় উন্নয়নে অর্থনীতির মৌলিক এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ খাত। এ কয়েকটি খাতের সেবার ওপর দেশের সমগ্র অর্থনীতি নির্ভর করে। সূতরাং এ কয়েকটি খাতকে মূসকের বর্হিভূত রাখতে হবে।