
খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কেডিএ) প্রস্তাবিত ডিটেইল্ড এরিয়া প্লান (ড্যাপ) নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, ড্যাপে খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) প্রস্তাবিত ২৬টি মৌজাসহ উত্তরে নোয়াপাড়া পৌরসভা, দক্ষিণে রূপসার তিলক ও পূর্বে দিঘলিয়ার সেনহাটি-বারাকপুর পর্যন্ত মোট ৭৮টি মৌজা কেডিএ‘র উন্নয়ন মহাপরিকল্পনার আওতায় আসছে। এর মাধ্যমে ২০২৩ সালের মধ্যে খুলনাকে আধুনিক মেট্রোপলিটন সিটি হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয় রূপকল্প তৈরি হচ্ছে। যা সরকারের ৩৩টি সংস্থা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করবে।
প্রস্তাবিত ড্যাপে দেখা গেছে, ২০২৩ সাল নাগাদ খুলনার জনসংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ১৭ লাখে। নতুন এলাকার জন্য তৈরি করতে হবে ১৭১ দশমিক ৫১ কিলোমিটার নতুন সড়ক। নির্মাণের পরিকল্পনায় রয়েছে ৮৩টি প্রাথমিক ও ১৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি করে কলেজ, আলিয়া মাদ্রাসা, টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট ও এতিমখানা। থাকবে দুটি জেনারেল হাসপাতাল, একটি বিশেষায়িত মানসিক হাসপাতাল ও একটি নার্সি ট্রেনিং ইন্সটিটিউট। নতুন ১৪টি বাজার, ৩টি মেট্রোপলিটন পার্ক ও ৪টি টাউন সেন্টার নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে ড্যাপে। এগুলোর সুনির্দিষ্ট স্থান, জমির পরিমাণ উল্লেখ করে জমা দেওয়া হয়েছে কেডিএতে।
খুলনা বিভাগীয় প্রেস ক্লাব ফেডারেশনের সভাপতি লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন কেডিএ এর চেয়ারম্যান বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সামছুল আলম খান, প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ, সাবেক সভাপতি বেগম ফেরদৌসী আলী, মকবুল হোসেন মিন্টু, শেখ আবু হাসান, সাধারণ-সম্পাদক এস এম জাহিদ হোসেন, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ-সম্পাদক মাহবুব আলম সোহাগ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুমার রায়, কেডিএর প্রধান প্রকৌশলী এটিএম ওয়াহিদ আজহার, কেডিএ কর্মকর্তা কাজী সাবিরুল আলম, শামীম জেহাদ, এস এম মাসুদুর রহমান ও প্রকল্প পরিচালক মো. মজিবুর রহমান।