
বিদ্যুৎ খাতের মতো এখন এদেশের সবকটি খাত বিদেশিদের হাতে চলে যাচ্ছে। এজন্য সরকারের তৈরি সিস্টেমকেই দায়ী করলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের আইইবি সেমিনার হলে বর্তমান বিদ্যুৎ পরিস্থিতিঃ প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। আলোচনা সভার আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (অ্যাব)।
ফখরুল সরকারের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন করে লুট করা, এটা তাদের (আ.লীগ) পুরোনো অভ্যাস। এখন বিদ্যুৎসহ দেশের সবকটি খাতে তারা দুর্নীতি ও লুণ্ঠন চালিয়ে যাচ্ছে।
এ হরিলুট বন্ধ করতে হলে, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে হলে গণঅভ্যুত্থানের কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশটা থাকলেই তো বিদ্যুৎ হবে।
সরকার বলছে দেশে ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। কার্যত তা ৬ হাজার মেগাওয়াটেরও কম বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমার কোনো আন্দোলনে নামলেই মামলা, হামলা ও তামাশার শিকার হতে হচ্ছে। তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার জন্য লংমার্চ করতে গিয়ে দেখি তিস্তার পানি ৩ হাজার কিউসেক বেড়েছে। ফেরার পথে জানতে পারলাম পানি আবারও কমে আগের অবস্থানে ফিরে গেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশে কয়লা খনি থাকার পরও বিদেশ থেকে কয়লা এনে তারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায়। পানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে কুইক রেন্টালের নামে দেশের সম্পদ তারা পাচার করতে চায়।
এ সময় তিনি বিএনপিপন্থী প্রকৌশলী ও নেতাকর্মীদের হতাশ না হয়ে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
অ্যাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রকৌশলী আ.ন.হ আখতার হোসেন পিইঞ্জ এর সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহসিন আলী, শিক্ষকনেতা জাকির হোসেন, প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম বহরদার প্রমুখ।
এমআর/কেএফ