
তারেক রহমান পাকিস্তানিদের কোলে-পিঠে মানুষ হয়েছেন। আর এ কারণেই তিনি বংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করার সাহস পাচ্ছেন।
সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস ও চলমান রাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাসান মাহমুদ এমপি।
তিনি বলেন, জাতির জনকের নির্দেশেই ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী সরকার শপথ নিয়েছিল। কিন্তু বিএনপি নেত্রী তা স্বীকার করতে ভয় পান। কারণ, মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাস তিনি পাকিস্তানের ক্যান্টনমেন্টে তাদের আতিথিয়তায় ছিলেন।
কর্নেল অলি আহমেদের একটি ডকুমেন্টারি দেখিয়ে হাসান মাহমুদ বলেন, কর্নেল অলির কাছ থেকেই জিয়াউর রহমান প্রথম জানতে পারেন বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা সম্পর্কে। তাহলে কিভাবে জিয়া স্বাধীনতার ঘোষক হলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির জন্মই হয়েছে অস্ত্রের জোরে। যারা আইএসআইয়ের (পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা) কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা নিয়ে রাজনীতি করেন, মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস যারা পাকিস্তানিদের হয়ে বাঙালি নিধনে ব্যস্ত ছিলেন- তারা ইতিহাস বিকৃত করবেন এটাই স্বাভাবিক।
তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে বিএনপির লংমার্চ সম্পর্কে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা নিয়ে অনেক সচেতন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরোধিতার কারণে তিস্তা চুক্তি কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। কিন্তু খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন- একাধিকবার ভারতে গিয়েছিলেন; তখন একটিবারের জন্যেও তিনি তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা এবং গঙ্গার পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা করেননি। তখন কোথায় ছিল তার দেশপ্রেম।
তিনি বলেন, ভারত সরকারের কাছ থেকে চলতি মাসের ১০ তারিখে একটি চিঠি এসেছে, তাতে বলা হয়েছে খুব শিগগির তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, খালেদার জিয়ার প্রত্যক্ষ নেতৃত্বেই জামায়াত-শিবির সন্ত্রাসীরা পেট্রোল দিয়ে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছিল। তাই জনগণ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তারা যেকোনো সময় আবার ছোবল মারতে পারে বলে মন্তব্য করে তিনি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক আলহাজ হাসিবুর রহমার মানিকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহ-সম্পাদক এম এ করিম, অ্যাড. বলরাম পোদ্দার, গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, শাহজাহান আলম সাজু, ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হুমায়ুন কবীর, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।
এমআরএস/এআর