
নওগাঁর নদীগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় নেমে গেছে পানির স্তর। শুস্ক মৌসুমে পানিশুন্য হয়ে পড়ায় বোরো সেচ নিয়ে শঙ্কিত নদীতীরের হাজার হাজার কৃষক।
এলাকাবাসী বলছে সংরক্ষণ ও পুন:খনন করা না হলে এ অঞ্চলের নদীগুলো হারিয়ে যাবে কালের গর্ভে।
নওগাঁয় রয়েছে ছোট বড় ৭টি নদী। শুষ্ক মৌসুমের শুরুতে আত্রাই, ছোট যমুনা, তুলসী গংগা, নাগর, শিব, ফকিন্নি, পুনর্ভবা নামক এসব নদী শুকিয়ে পানি শুন্য হয়ে গেছে। এক সময় এসব নদী ছিল হাজার হাজার মানুষের জীবিকার উৎস। নদীর পানি ব্যবহার করে দুপাড়ের মানুষ ভরে তুলত তাদের ফসলের ক্ষেত। এখন বছরে মাত্র তিন থেকে চার মাস পানি থাকে এসব নদীতে। এরপর ধুধু বালুচরে পরিণত হয় নদী।
এদিকে পানি শুন্য নদীতে চলছে দখল ও দুষণের প্রতিযোগিতা। ছোট যমুনার দুতীরে অবৈধভাবে দখল করা অনেক বড় বিল্ডিং গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়া নদীতীরে গড়ে তোলা চাতাল থেকে বিষাক্ত বর্জ্য ও ছাই ফেলা হচ্ছে নদীতে।
নওগাঁ চাউল কল মালিক গ্রুপের সভাপতি মো: তফিকুল ইসলাম বাবু জানান, দুষণের ব্যাপারে চাতাল মালিকদের সতর্ক করে পত্র দেওয়া হয়েছে।
নওগাঁর এসব নদী দখল ও দূষণের হাত থেকে রক্ষার দাবিতে সম্প্রতি জেলা নাগরিক পরিষদ মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারক লিপি প্রদান করে।
জেলা নাগরিক পরিষদের সভাপতি মো: জাফর হোসেন জানান, নওগাঁর নদী দূষণ ও দখলের বিষয়টি প্রশাসন গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে দিন দিন এর মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।
তবে এমন অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা প্রশাসন। নওগাঁ জেলা প্রশাসক মো: এনামুল হক বলছেন, জনবল সংকটে অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম চালানো যাচ্ছে না।
পরিবেশের বিরুপ প্রভাব মুক্ত রাখতে জেলার নদীগুলোকে সচল করা গেলে শস্য সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে এ অঞ্চল এমন অভিমত সব মহলের।
কেএফ