
ধীর হয়ে পড়েছে রপ্তানি বাণিজ্যের গতি। কঠিন হয়ে পড়ছে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ। ফেব্রুয়ারি মাসের পর মার্চেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয় নি। এ মাসে রপ্তানি খাতে আয় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৯ শতাংশ কম। তবে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে আয় সামান্য বেড়েছে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্চে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ শতাংশের কাছাকাছি। অথচ গত বছরের শেষ দুই মাস তথা ডিসেম্বর ও নভেম্বর মাসেও এ আয় বেড়েছিল যথাক্রমে ১৯ দশমিক ৫৫ ও ২০ দশমিক ৩৭ শতাংশ হারে। জানুয়ারি মাসে প্রবৃদ্ধি অনেক কমে যাওয়ায় সাত মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর) গড় প্রবৃদ্ধি কমে ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকে প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে পড়ায় সামগ্রিক রপ্তানি আয়ের হার কমে গেছে। আর তা হয়েছে তৈরি পোশাক খাতে বছরভর চলমান অস্থিরতা এবং হরতাল-অবরোধসহ রাজনৈতিক সহিংসতার প্রভাবে। সেই প্রভাব থেকে খাতটি এখনও ঘুরে দাঁড়াতে না পারার কারণে এই হার ধারিাবাহিকভাবে কম আসছে।
আলোচ্য সময়ে তৈরি পোশাকের প্রবৃদ্ধি কমেছে। মার্চ মাসে খাতটির নীট ও ওভেনে প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ ও ১৩ দশমিক ৯৯ শতাংশ। তবে এর আগের মাসে ছিল নীটখাতে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ ও ওভেন খাতে ১৫ দশমিক ৯২ শতাংশ।
এক সময়ের সোনালী আঁশ পাটে রপ্তানি আয় ২০ দশমিক ০১ শতাংশ কমেছে। এছাড়া পেট্রোলিয়াম উপ-পাত পণ্যে ৪৭ দশমিক ৭১ শতাংশ, কসমেটিসে ৩৮ দশমিক ৭১ শতাংশ কমেছে, ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যে কমেছে ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে কমেছে ৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ, প্রিন্টেড কাঁচামালে কমেছে ১৭ শতাংশ।