
পুঁজিবাজার আজ ভালো তো কাল খারাপ। এতে বিনিয়োগকারীরা বাজারের গতিবিধি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাচ্ছেন না। ফলে এক দিকে যেমন তারা নতুন করে বিনিয়োগ করতে সাহস পাচ্ছেন না, অন্যদিকে কেনা শেয়ারও বিক্রি করতেও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। এ অবস্থায় খুলনার স্থানীয় বিনিয়োগকারীরা জানান, চলমান বাজারের গতি তারা বুঝে উঠতে পারছেন না।
বিনিয়োগকারীরা বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর ধরে একটি স্থিতিশীল বাজারের প্রত্যাশায় রয়েছি। কিন্তু সে প্রত্যাশা আজো সফলতার মুখ দেখেনি। মাঝে মধ্যে সূচক কিছুটা বাড়তে দেখা গেছে। এতে বাজার নিয়ে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও পুরোপুরি শঙ্কা কাটেনি বিনিয়োগকারীদের। যদিও বাজারের স্বাভাবিক ধারা ফিরিয়ে আনতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। কিন্তু প্রয়োজনীয় নীতিমালা এবং যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে স্থিতিশীল পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। ফলে বাজারে যা হবার তাই হচ্ছে।
বিনিয়োগকারী লিটন ইসলাম বলেন, “বর্তমান বাজার যে কোন দিকে যাচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। ভেবেছিলাম বর্তমান সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর বাজার স্থিতিশীল হবে। কিন্তু না আমাদের সে আশায় গুড়ে বালি।
বিনিয়োগকারী প্রভাষক কাজী হোসাইন বলেন, ধৈর্য ধারণ করতে করতে অধৈর্য হয়ে পড়ছি। এখন আর ধৈর্য ধরতে পারছি না। তিনি দ্রুত একটি স্থিতিশীল বাজারের দাবি জানিয়েছেন।
খুলনা ইনভেস্টরস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ ডাকুয়া বলেন, বাজার ধসের পর থেকে এসইসিসহ বিভিন্ন পক্ষ থেকে অনেক সিদ্ধান্তের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো। কোনো প্রতিশ্রুতি এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। অথচ তাদের প্রতিশ্রতির ওপর ভিত্তি করে বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করে বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান বাজারেও অনিয়ম এবং অসাধু ব্যক্তির বিচরণ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। এসব অনিয়ম ও অসাধু ব্যক্তির বিচরণ রোধ করতে হবে অন্যথায় পুঁজিবাজার কখনওই স্থিতিশীল হবে না।