
লোকে ভাবে পাগল। মাঝে মাঝে মনে হয়, অতিরিক্ত কিছু করলাম না তো! তাছাড়া চাষের জন্য প্রযুক্তি, তেল খরচেরও তো দরকার। বেশ তো! ঘোড়া দিয়ে চাষ করলেই মন্দ হয় না- এমনিভাবেই অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন রবার্ট স্যামসন। তিনি যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পশায়ারের একজন গ্রাম্য খাঁটি চাষি।
প্রযুক্তি বিকাশের যুগেও ১৯৮৫ সাল থেকেই জমিতে ৮ ঘোড়াশক্তি দিয়ে এভাবে চাষ কাজ করে আসছেন তিনি। স্যামসন জানান, জমিতে চাষের লাঙ্গল থেকে শুরু করে মই পর্যন্ত সবকিছুই তিনি ঘোড়া দিয়েই শেষ করেন। লাগে না কোন পেট্রোল, লাগে না ডিজেল। তিনি বলেন, ‘আমার এ কাজ দেখে অনেকেই আমাকে পাগল ভাবেন। কিন্তু আমি লোকের কথায় কান দিই না। তাদের কথার তোয়াক্কাও করি না আমি। তারা আমাকে প্রশ্ন করলে আমি বলি- ‘ভালো লাগে তাই করি’।
জমি বলতে রয়েছে তার ২৫৬ একরের একটি প্লট। এই প্লটেই তিনি তার ফসল আবাদ করেন। ফলে দরকার হয় কলের লাঙ্গল কিংবা অন্যান্য প্রযুক্তির। কিন্তু শ্যামসন পানিসেচ ছাড়া কোন কিছুতেই প্রযুক্তি ব্যবহার করেন না।
শ্যামসান জানান, বহুদিনের পুরোনো ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে এই ঘোড়ায় চাষকে এখনও বলবদ রেখেছি আমি। তাছাড়া এ পথ আমাকে ডিজেল খরচের হাত থেকে বাঁচায়। বাঁচায় বড় বড় যন্ত্রপাতি কেনার হাত থেকে। বাচে শ্রম খরচও।
সূত্র: ডেইলি মেইল।