শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খানের সাথে তুরষ্ক-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (টিবিসিসিআই) সভাপতি ফ্রিকরেট চিচেক সাক্ষাৎ করেছেন।
এ সময় বাংলাদেশস্থ তুরষ্ক দূতাবাসের বিজনেস কাউন্সিলর টুলে ইয়ানিক এবং তুরষ্ক-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সেক্রেটারি জেনারেল মুরাট কারাকা উপস্থিত ছিলেন।
ডিসিসিআই সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান খান তুরষ্কের বিজনেস কাউন্সিলকের মহোদেয়কে ডিসিসিআইতে আসার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ ও তুরষ্কের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায়ে রেখে ব্যবসাবাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বায়ু বিদ্যুৎ, অবকাঠামো, পর্যটন, যোগাযোগ, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্য এবং ঔষধ ইত্যাদি খাতে তুরষ্কের ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহবান জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার জন্য ট্যাক্স হলিডে, টেকনিক্যাল নো-হাউ, যন্ত্রপাতি আমদানির উপর শুল্ক মওকুফসহ নানাবিধ সুবিধা প্রদান করছে। এসব সুবিধা গ্রহণ করে তুরষ্কের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানান। তিনি দুদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত সকল বিরোধ দ্রুত নিরসনের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
তিনি জানান, বাণিজ্য সম্প্রসারণে ঢাকা চেম্বারের “ডিসিসিআই হেল্প ডেস্ক” খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে যার মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বাংলাদেশি ব্যবসায়ীবৃন্দ নিজেদের কাঙ্খিত উযোদ্ক্তা খুঁজে পাবে।
তুরষ্ক-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (টিবিসিসিআই) সভাপতি ফ্রিকরেট চিচেক বলেন, তুরষ্কের সরকার বাংলাদেশের সাথে এফটিএ চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে অত্যন্ত আগ্রহী এবং এ থেকে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীবৃন্দ ইউরোপের বাজারে তুরষ্কের জন্য বিদ্যমান জিএসপি সুবিধা ভোগ করে নিজেদের পণ্য রপ্তানি করতে পারবে। তিনি দু’দেশের ব্যবসাবাণিজ্য উন্নয়নে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সাথে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
তিনি আরও জানান, আগামি ১৬-২২ জুন ২০১৪ তারিখে তুরষ্কে “ Turkey World Trade Bridge” শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হবে এবং উক্ত মেলায় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণের আহবান জানান।