
স্ত্রী মাকসুদা হক ও নিজের সম্পদ বিবরণী দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) দাখিল করলেন ঢাকা ১৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হক।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন চম্পুর কাছে এ সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন বলে নিশ্চিত করেন দুদকের উপ-পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন।
এর আগে গত ১৬ মার্চ ৭ কার্যদিবস সময় দিয়ে আসলামুল হক ও তার স্ত্রীর সম্পদ বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ পাঠায় দুদক। আর একই অভিযোগ অনুসন্ধানে আসলামুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক। তবে আসলামুল হক তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় আসলামুল হক উল্লেখ করেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী এখন ১৪৫ দশমিক ৬৭ একর জমির মালিক। জমির দাম উল্লেখ করা হয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা। ৫ বছরে স্বামী-স্ত্রীর জমি বেড়েছে ১৪০ একরের বেশি। আর বাড়তি এ জমির মূল্য দেখিয়েছেন ১ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার টাকা। বিষয়টি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর দুদকের পক্ষ থেকে তিনিসহ বিগত মহাজোট সরকারের সাত মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও হলফ নামায় দেওয়া সম্পদ বিবরণীর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করে দুদক। এতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে উপ-পরিচালক শেখ ফাইয়্যাজ আলমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকারের এমপি ও সাবেক মন্ত্রীসহ সাতজন প্রভাবশালীর হলফ নামায় দেওয়া সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি ও অবৈধ সম্পদ অর্জানের বিষয়ে অনুসন্ধান করছে দুদক। আসলামুল ছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে তারা হলেন— সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান, সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী মাহবুবুর রহমান, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এনামুল হক, চট্টগ্রাম-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি এবং সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল জব্বার।