প্রথম পরীক্ষায় সমান প্রতিপক্ষ বাংলাদেশের

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেন পর্বে প্রথম পরীক্ষায় বাংলাদেশ মাঠে নামবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ও ক্রিকেটের শর্ট ভার্সনের এ খেলায় জয়ের দিক থেকে সমানে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মিআইসিসি টি-২০ লোগোরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে। প্রতিপক্ষ কিছুটা কঠিন হলেও জয় দিয়েই শুরু করতে চায় বাংলাদেশ। আর আগের ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প কিছুই ভাবছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর আগে ৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে। যার দুটিতে জয় বাংলাদেশের। এবং দুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই দল একটি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে। যাতে জয়ের স্বাদ নিয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ২০০৭ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় জয়টি আসে ঢাকার মাটিতে ২০১১ সালে। অধিনায়ক হিসেবে মুশফিকুর রহিমের অভিষেক ম্যাচে বাংলাদেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ঘরের মাঠে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পরাজিত করে। টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ১৭৯। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ১৯৮ রান তাড়া করতে নেমে ১৭৯ রান তুলে টাইগাররা। সে ম্যাচে তামিম ইকবাল  ৮৮ ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৬৪ রান করেন। এদিকে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিক বাংলাদেশকে পেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্বাভাবিকভাবেই চাইবে জয়ের ধারায় ফিরতে। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের ধারায় ফেরা ততটা সহজ হবে না। কারণ হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ বাদ দিলে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে নিজেদের সেরা খেলাটা উপহার দিয়েই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৯ উইকেটে এবং নেপালের বিপক্ষে ৮ উইকেটে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে টাইগাররা।

ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ভাল পারফর্ম বাংলাদেশের। সাকিব আল হাসানের পাশাপাশি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদও ভালো বোলিং করছেন। ব্যাটিংয়ে তামিম, আনামুল ও সাকিব নিয়মিত রান পাচ্ছেন। ফর্মে রয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমও। আর নতুন করে ফিরছেন দলের টি-টিয়েন্টি স্পেশালাইজড জিয়াউর রহমান।

বাংলাদেশের সামনেও রয়েছে নিজেদেরকে প্রমাণ করার সুযোগ। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু করতে পারলে পরের তিনটি ম্যাচেও ভালো করার সম্ভাবনায় ফিরতে সহজ হবে। আর ভালো করতে পারবে ভারত, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। এইউ নয়