
রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার জামিন বাতিল করার জন্য হাইকোর্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘কোয়ালিশন অব কম্বোডিয়ান এ্যাপারেলস ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন’ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মি. কং আতিত।
সোমবার বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘রানা প্লাজা ও তাজরীনে নিহত শ্রমিক সন্তান এবং ক্ষতিগ্রস্থদের ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ আহ্বান জানান। জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
মি. কং আতিত বলেন, রানা প্লাজা ও তাজরীন ফ্যাশন আহত ও নিহতদের জন্য সরকার এবং বিজিএমইএ বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে জরুরি আর্থিক সহায়তা পেলেও তা এখনও তাদের হাতে পৌঁছায়নি।
ক্ষতিপূরণ নিয়ে জতিলতা সৃষ্টি না করে ‘লস অব আর্নিং’ এর ভিত্তিত্বে ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে বলেও জানান তিনি।
মানববন্ধনে অন্যান্য বক্তারা বলেন, রানা প্লাজা ধ্বংসের ১১ মাস এবং তাজরীন ফ্যাশন অগ্নিকাণ্ডের ১৬ মাস পূর্ণ হয়েছে। রানা প্লাজা ধ্বংসে ১১৩৮ জন শ্রমিক নিহত ও আহত হয় প্রায় ২৫০০ জন। আর তাজরীন গার্মেন্টেস অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয় ১১৫ জন ও আহত হয় দেড়শ জন। এসব অগ্নিকাণ্ডে আহত ও ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের সরকার, বিজিএমইএ ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাথমিক সহায়তা প্রদান করা হলেও এখনও কোনো ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়নি।
আইএলওসহ শ্রমিক সংগঠন, বায়ার এবং অন্যান্য সকল প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত “রানা প্লাজা কমপেনসেশন এরেজমেন্ট কো-অর্ডিনেটিং কমিটিকে দ্রুত ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ ও প্রদানের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান বক্তারা।
এ সময় গার্মেন্টস শিল্পকে নিরাপদ কর্মস্থলে পরিণত করার জন্য মালিক, শ্রমিক, সরকার এবং বায়ারদের নিকটও আবেদন জানান তারা।
জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন এর সভাপতি আমিরুল হক আমিরের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি চৌধুরী আশিকুল আলম, জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সাফিয়া পারভিন, মোহাম্মদ ফারুক খান, আরিফা আক্তার, রানা প্লাজার আহত শ্রমিক শাপলা, সাজেদা বেগম, তাজরীন গার্মেন্টেস অগ্নিকাণ্ডে আহত শ্রমিক জরিনা, নাসিমা প্রমুখ।
মানববন্ধনে নিহত ও আহত শ্রমিকদের সন্তানরা ছাড়াও বেলজিয়াম, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, ভারত এবং নেপালের শ্রমিক ও ১৭টি শ্রম ও শ্রমিক অধিকার বিষয়ক সংগঠনের নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
জেইউ/কেএফ