
দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ১৯ দলীয় জোট খুলনা জেলা ও মহানগর শাখা।
প্রহসন ও ভোট ডাকাতি-জালিয়াতির উপজেলা নির্বাচন বাতিল করে পাঁচ উপজেলায় পুনরায় ভোট গ্রহনের দাবিতে এবং নির্বাচন কমিশন, ভোট গ্রহনের দায়িত্বে নিয়োজিত সিভিল প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ প্রশাসনের কোথাও নির্লিপ্ততা ও কোথায় ভোট ডাকাতিতে সহায়তার নিন্দা জানিয়ে তারা এ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ২৫ মার্চ মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় মহানগীর কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি অফিসের সামনে প্রতিবাদ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। একই দাবিতে ২৮ মার্চ শুক্রবার জেলার রূপসা, তেরখাদা, ফুলতলা, বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিল করবে ১৯ দল।
সোমবার দুপুরে ১৯ দলের খুলনা জেলা ও মহানগর শাখার যৌথসভায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও মহানগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এম নুরুল ইসলাম দাদু ভাই।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির সাধারণ-সম্পাদক ও উপজেলা নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক এস এম শফিকুল আলম মনা, বিজেপি মহানগর সভাপতি লতিফুর রহমান লাবু, পিপলস লীগের মহানগর সভাপতি ডা. সৈয়দ আফতাব হোসেন, জামায়াতের মহানগর সহকারী সেক্রেটারী শাহ আলম, বিএনপি নেতা মোল্লা আবুল কাশেম, অধ্যাপক আমির আলী, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আব্দুর রশিদ, এহতেশামুল হক শাওন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, আওয়ামী লীগের অধিনে যে নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয় এ কথা আবারও রোববার প্রমাণিত হয়েছে। যারা মনে করতেন বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে অংশ না নেওয়া ভুল ছিল তাদেরকে রোববারের ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিল আওয়ামী লীগ সরকারের সাজানো পাতানো প্রশাসন দিয়ে। তাদের বশংবদ নির্বাচন কমিশন দিয়ে এর চেয়ে ভয়াবহ জালিয়াতি ও ডাকাতি ওই নির্বাচনে সংঘটিত হতো।
সভা থেকে এ ধরনের একটি প্রহসন ও ডাকাতি ঘটতে দেওয়ার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের অপমৃত্যু ঘটেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
সভা থেকে রোববার খুলনার ৫ উপজেলায় ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল, জালিয়াতি, ব্যালট ছিনতাই, ছাত্রলীগ-যুবলীগ ক্যাডারদের গণসিল মারার যেসব তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণাদি সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ ভোটার, দলের নেতা-কর্মী, প্রার্থীদের সমর্থক কিংবা নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারি মিডিয়া কর্মীদের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে তা সংগ্রহ করে পোস্টার, বুকলেট এবং ভিডিও ডকুমেন্ট তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। সভা থেকে পাঁচ উপজেলায় নির্বাচনে অনিয়ম, জালিয়াতি ও ভোট ডাকাতির আইনগত প্রতিকার পেতে আদালতে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।