
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর সিন্ডিকেটের নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে তিতাস গ্যাস বিতরণ ও বিপণন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নওশাদ আলমসহ ১১ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এ লক্ষ্যে তাদেরকে এপ্রিল মাসের ৬, ৭ ও ৯ তারিখে দুদকে এসে জনবল নিয়োগের তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করতে নির্দেশ দিয়ে নোটিশ দিয়েছে কমিশন।
সোমবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে অনুমোদনের পর তাদের কাছে নোটিশ পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেন কমিশনের উপ-পরিচালক অনুসন্ধানরকারী কর্মকর্তা মো. আহসান আলী।
নোটিশে আগামি ৬ এপ্রিল সকাল ১০টায় দুদক কার্যালয়ে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নওশাদ আলী, বাপেক্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল বাকী, প্রকল্প পরিচালক মেহেরুন হাসান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) সাইফুজ্জামানকে তলব করা হয়েছে।
আর ৭ এপ্রিল সকাল ১০টায় সুন্দরবন ডিস্টিবিউশনের মহাব্যবস্থাপক রেজাউল ইসলাম, উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আলী, উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ নুরুল হুদা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী গোলাম মোস্তফাকে তলব করা হয়েছে।
এছাড়া, আগামি ৯ এপ্রিল সকাল ১০টায় তিতাসের বাপেক্স’র ডিজিএম মো. রফিকুর রহমান, ডিজিএম শফিকুর রহমান, ফয়জুর রহমান এবং এসওডি সেলিম মিয়াকে দুদকে তলব করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সংস্থার অধীন আরও ১৩টি প্রতিষ্ঠানে লোক নিয়োগে অনিয়মের মাধ্যমে গত ৪ বছরে ব্যাপক সম্পদ অর্জন করেছেন। এ নিয়োগ বাণিজ্যে শত কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হয়েছে। আর এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে তিতাস গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ কর্মকর্তারা সম্পৃক্ত রয়েছেন। তাই এ নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য তিতাতের কর্মকর্তাদের তলব করা হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, পেট্রোবাংলার অধীন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড, তিতাস গ্যাস ও কর্ণফুলি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির জনবল নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানির নিয়োগের ক্ষেত্রে খোদ কোম্পানির বোর্ডের অনুমোদন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। কোম্পানির জিএম কমিটির নিয়োগ সংক্রান্ত সভায় ৩টি পদের জন্য ৩১টি শূন্য পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হলেও শেষ পর্যন্ত এই পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১৪৩ জন। নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলা কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা এবং নারী কোটা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও কম্পিউটার অপারেটর পদের মূল্যায়নে অভিজ্ঞতার জন্য কোনো নম্বর দেওয়া হয়নি যা এই পদের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে নষ্ট করেছে। নিয়োগপ্রাপ্ত অধিকাংশই অযোগ্য, অদক্ষ হলেও ছিলেন অধ্যাপক হোসেন মনসুরের পছন্দের প্রার্থী।
এইউ নয়ন/এএস