
আবারও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বা ডিএসইএক্স সূচক সাড়ে চার হাজার পয়েন্টের নিচে নেমেছে। সোমবার এই সূচক ৫৩ পয়েন্ট বা এক দশমিক ১৮ শতাংশ কমে অবস্থান করে ৪ হাজার ৪৬৬ পয়েন্টে। এর আগে চলতি বছরের ১৫ জানুয়ারি এই সূচক নেমে গিয়েছিল। ওই দিন ৪ হাজার ৪৯৪ পয়েন্টে অবস্থান করেছিল এই সূচক।
এদিকে বাজার অব্যাহত ভাবে দর পতনের কারণে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সামনে। তারা পুঁজিবাজারের মন্দা অবস্থা ফিরিয়ে আনতে অর্থমন্ত্রী, বাংলাদেশ বাংকের গভর্ণর এবং সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে পদক্ষেপ আশা করেছেন।
বিনিোগকারীরা আরও বলেন, বাজারে এভাবে দর পতন চলতে থাকলে আমাদের আন্দোলনও চলতে থাকবে।
বিশ্লেষকদের মতে, ব্যাংলাদেশ ব্যাংক, ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (বিএসইসি) কমিশনের অপরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণের কারণে বাজারে দর পতন হচ্ছে। তাছাড়া ডিএসইর নতুন পরিচালনা পর্ষদের ওপর বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা কাজ করছে।
বিশ্লেষণে দেখা যায়, সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) অন্যান্য মূল্যসূচকও কমেছে। তবে লেনদেন আগের দিনের চেয়ে কিছুটা বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই)ডিএসইএস সূচক ১০ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ১০ শতাংশ কমে অবস্থান করছে ৯৬৭ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ২৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৫৮৯ পয়েন্টে।
এইদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৯৮ কোটি ৯৬ লাখ টাকার। লেনদেন হওয়া ৬৫ শতাংশ কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে। মোট লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৮৯টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬৭টির কমেছে ১৮৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে(সিএসই)ও দীর্ঘ দিন পরে সার্বিক সূচক ১৩ হাজার পয়েন্টে নেমেছে। এছাড়া অন্য সূচকও কমেছে এই স্টক এক্সচেঞ্জে। সিএসই সার্বিক সূচক ১৭৯ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৩ হাজার ৮২১ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ২১১টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪২টির কমেছে ১৫০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টির।
অর্থসূচক/এমআরবি/