
বিশ্বমানের পণ্য ও সর্বোত্তম বিক্রায়োত্তর সেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে অনুষ্ঠিত হল ওয়ালটনের প্লাজা ম্যানেজার ও ডিলার সম্মেলন। এতে উপস্থিত কর্মকর্তারা দেশ-বিদেশে ওয়ালটন পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে আরো উদ্যোগি হওয়ার ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাঙ্গণে শনিবার সকাল সাড়ে ৯টায় এই সম্মেলন হয়।
দিনব্যাপি এ সম্মেলনে অংশ নেন সারা দেশের ২১ টি অঞ্চল থেকে আসা ওয়ালটনের ১৫০ জন প্লাজা ম্যানেজার ও ৩৫০ জন ডিলার।
ওয়ালটনের ওই সব বিক্রয় প্রতিনিধিরা সরেজমিনে কারখানার বিভিন্ন উৎপাদন প্লান্ট ঘুরে দেখেন। বিশ্বমানের ফ্রিজ, টিভি, মোটরসাইকেল, এসি ইত্যাদি পণ্যের সর্বাধুনিক উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখে তারা অভিভূত হন। ওয়ালটনের পণ্য বিপণনে অসামান্য দক্ষতার স্বাক্ষর রাখায় সম্মেলনে ১৭ জন প্লাজা ম্যানেজার ও ১২ জন ডিলারকে বিশেষ সম্মাণনা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
সম্মেলনে ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক (প্লাজা সেলস এন্ড ডেপেলপমেন্ট) ইভা রিজওয়ানা নিলু বলেন, ‘দেশকে এগিয়ে নিতে ওয়ালটন কাজ করছে। দেশেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের পণ্য। ক্রেতাদের চাহিদানুযায়ী দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখাসহ বিভিন্ন কালারের সব পণ্য বাজারজাত করা হচ্ছে। বিপণন ব্যবস্থা দিন দিন সহজ করা হচ্ছে’। ক্রেতাদের সুবিধার্থে প্লাজা ম্যানেজারদের আরো গবেষণা ও টার্গেট ভিত্তিক কাজ করার জন্য আহ্বান জানান তিনি। এ সম্মেলনের মাধ্যমে ওয়ালটনের বাজার কার্যক্রম আরো সম্প্রসারণ হবে বলে তিনি আশাব্যক্ত করেন।
সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত পরিচালক (মার্কেটিং) কামাল হোসাইন বলেন, ‘একসময়ের আমদানি নির্ভর খাতকে উৎপাদনমুখী করেছে দেশিয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ সুনাম অর্জন করে যাচ্ছে’।
সম্মেলনের শেষ পর্বে র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা-মালায়েশিয়া টিকিটসহ ২০ টি পুরস্কার দেওয়া হয়। মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ এ সম্মেলন।
ওয়ালটনের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের পরিচালনায় সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক এস এম জাহিদ হাসান (পলিসি এন্ড এইচআরএম), মো. এমদাদুল হক সরকার (বিপণন), মো. হুমায়ুন কবীর (পিআর এন্ড মিডিয়া), অপারেটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম (ক্রিয়েটিভ এন্ড পাবলিকেশন্স), অতিরিক্ত পরিচালক লে. কর্ণেল (অব.) মো. আবদুল কাদেরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
পুরস্কার প্রাপ্ত প্লাজা ম্যানেজাররা হলেন- সিলেটের আব্দুল্লাহ সাকলাইন, টাঙ্গাইলের অনুক কুমার সাহা, ঢাকার উত্তরার আল আমিন সরকার, কিশোরগঞ্জের কবির হোসেন, নরসিংদীর ফারুক আহমেদ, বসুন্ধরা সিটির আকরামুজ্জামান অপু, লালমনিরহাটের রশিদুল ইসলাম, পাগলার শফিকুল ইসলাম, করটিয়ার আরিফুল হক লিটন, বগুড়ার আনিসুর রহমান, হেমায়াতপুরের কামাল হোসেন, রাঙামাটির নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহের স্বধান্দ চক্রবর্তী, মৌলভীবাজারের আবু তাহের সিদ্দিক, বরিশালের তাহের উদ্দিন, মাঈজদী আব্দুস সেলিম ও পটুয়াখালির অনির্বান কুমার রায়।
দেশ সেরা ১২ জন ডিলার হলেন, আর বি এস ইলেক্ট্রনিক্সের (চাটখীল) শাকিল, নিউ মজুমদার ইলেক্ট্রনিক্সের (চাদঁপুর) মজিবুর রহমান, মাহিন ইলেক্ট্রনিক্সের (সিলেট) সিরাজ উদ্দিন, ইলেক্ট্রো প্লাজা (চট্টগাম) কামাল হোসাইন, এইচ কে ইলেক্ট্রনিক্সের (টঙ্গী) হুমায়ন কবির, মাম পাওয়ার (তেজগাঁ) মাহমুদুল ইসলাম, শুভেচ্ছা ট্রেডের (বগুড়া) ইয়াছিন আলী, লিনার ইলেক্ট্রনিক্সের (সিরাজগঞ্জ) আবুল কালাম আজাদ, আরমান এন্ড মতিন ইলেক্ট্রনিক্সের (টাঙ্গাইল) আরমান ভূঁইয়া, মেগা ইলেক্ট্রনিক্সের (মুন্সীগঞ্জ) আশরাফুল ইসলাম, ওয়ান ইলেক্ট্রনিক্সের (মিরপুর, ঢাকা) মো. বাবু ও জামান ইলেক্ট্রনিক্সের (গাবতলী) মো. জামান।
সাকি/