
চতুর্থ ধাপে ২৩ মার্চ রোববার রাজশাহীর তানোর, পুঠিয়া ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে এরই মধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম।
এদিকে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনি প্রচারণা শেষ হয়েছে। ভোর থেকেই গভীর রাত পর্যন্ত চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে শেষ মুহূর্তে প্রচার প্রচারণা চালিয়েছেন।
এদিকে এ তিন উপজেলার ১৯৪টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৬১টি কেন্দ্র। এই কেন্দ্রগুলোতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। এরই মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় তিন উপজেলায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পাঁচ দিনের জন্য সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। শনিবার সকাল থেকে নির্বাচনী এলাকায় টহল শুরু করেছে সেনা ও বিজিবি সদস্যরা।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে এরই মধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বিকেলের মধ্যেই প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচন সামগ্রী পৌঁছে যাবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা এড়াতে এরই মধ্যে নির্বাচনী এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক সেনা ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে তারা। এছাড়া নির্বাচনী আচরণ-বিধি দেখভালের জন্য প্রতি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচনে শনিবার থেকে আরও তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আরও চারটি করে ভ্রাম্যমাণ দল কাজ শুরু করবে। এ নিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।
এদিকে, জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, ওই তিন উপজেলার ১৯৪টি ভোট কেন্দ্রকে ঘিরে এরই মধ্যে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৬১টি কেন্দ্রকে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ গুরুত্ব। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে তানোরের ৫১টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি, পুঠিয়ার ৫৯টি ভোট কেন্দ্রর মধ্যে ১৮টি এবং বাগমারার ৮৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি।
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, রাজশাহীর এ তিন উপজেলায় মোট ভোটার ৫ লাখ ২৭ হাজার ৪৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩০ হাজার ২০৭ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৫৯ জন। মোট ১৯৪টি ভোট কেন্দ্রে একযোগে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ তিন উপজেলায় মোট ভোট কক্ষ রয়েছে ৯৮৮টি। নির্বাচনে ১৯৪ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ওই সব কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন। থাকবেন ৯৮৮ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২ হাজার ১৭৬ জন পোলিং অফিসার।
এমআই/সাকি