আগামিকাল রোববার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৯১টি উপজেলার নির্বাচন। চতুর্থ ধাপের এই উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এবং প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তায় আগের চেয়ে বেশি সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেখা গেছে, এ ধাপে ভোট গ্রহণের কয়েক দিন আগে থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, সহিংসতা শুরু হয়ে গেছে।
নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সহিংসতা রোধে কমিশন যেমন নিষ্ক্রিয়, তেমনি গা ছাড়া ভাব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও। এ ছাড়া তৃতীয় ধাপে ব্যাপক সহিংসতা ও হত্যাকাণ্ডের পরও দোষীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ শনিবার অর্থসূচককে জানান, উপজেলা নির্বাচন নির্দলীয় হওয়ার পরও এটি এখন দৃশ্যত দলীয় আবহ এসে গেছে। দলগুলো থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশনা দেওয়ার কারণে প্রার্থী ও কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হচ্ছে। তবে নির্বাচনে যাতে কোনো ধরনরে সহিংসতানা ঘটে সে জন্য কমিশন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ ছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালতকে (মোবাইল কোট) আরও সক্রিয় হতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, সশস্ত্র বাহিনী, র্যাব-বিজিবি দায়িত্ব পালন করলেও গত তিন ধাপে তাদের টহলেই সীমাবদ্ধ ছিল। এ ছাড়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তালিকা থেকে সশস্ত্র বাহিনীর নাম ছেঁটে ফেলায় টহলের বাইরে তাদের কিছুই করার থাকছে না।
এদিকে, প্রথম ধাপের নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু হলেও দ্বিতীয় ধাপের সহিংসতায় একজন ও তৃতীয় ধাপে সহিংসতার তিনজনের প্রাণহানি ঘটে। নির্বাচন কমিশন প্রথম ধাপে ১০টি, দ্বিতীয় ধাপে ৩৪ এবং চতুর্থ ধাপে ২৬ কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করে দেয়।
উল্লেখ্য, ইসির তথ্যানুযায়ী- চতুর্থ ধাপে ৪৩ জেলার ৯৩ উপজেলার মধ্যে ২৩ মার্চ ৯১ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে। আদালতের নির্দেশে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর ও শেরপুর সদর উপজেলার নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। ৯১ উপজেলায় লড়ছেন এক হাজার ১৮৬ জন প্রার্থী। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৪৭, সাধারণ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫১৯ আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১১ জন।
এআর