ব্ল্যাকবেরি বন্ধে সময় চায় গ্রামীণ এয়ারটেল

blackberry_bold_9700 ব্ল্যাকবেরি মোবাইল ফোনের সেবা বন্ধে এক বছর সময় চেয়েছে গ্রামীণফোন ও এয়ারটেল। সম্প্রতি নিযন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে পাঠানো আলাদা চিঠিতে এ সময় চাওয়া হয়েছে। দেশে এ দুটি অপারেটরই শুধু ব্ল্যাকবেরি সেবা দিয়ে থাকে।  বিটিআরসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার অজুহাতে দেশে ব্ল্যাকবেরি সেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বিটিআরসি। গত মাসে  এ বিষয়ে মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশ দেয় সংস্থাটি।

গ্রাহকদের বিকল্প সেবা নিশ্চিত করে খুব শিগগিরই ব্ল্যাকবেরি সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল মোবাইল অপারেটররা ।

২০০৮ সালে এই সেবাটি প্রথম চালু করে গ্রামীণফোন। সে সময় বাংলাদেশে এ সেবা চালুর শর্ত ছিল নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সংরক্ষিত সার্ভারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন সংস্থার প্রবেশাধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত করতে ডিকোডিং সার্ভার স্থাপন করতে হবে। কিন্তু সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছেন অপারেটররা।

দেশে ফোনটির গ্রাহক স্বল্প থাকায় এ দেশে সার্ভার স্থাপনে আগ্রহ দেখায়নি এর নির্মাতা দেশ কানাডা।

বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহারের কারণে ব্লাকবেরির গ্রাহকদের এসএমএস, এমএমএস, যে কোন কথোপকোথনসহ সব ধরনের তথ্যই সংরক্ষিত থাকে নির্দিষ্ট সার্ভারে, যা অন্য কারো পক্ষেই পাওয়া সম্ভব নয়।

এদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা আর সমাজের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি এ সেবার গ্রাহক। তাই তাদের জন্য বিকল্প সেবার কথা চিন্তা করছেন মোবাইল অপারেটররা।

তথ্যের সর্বচ্চো নিরাপত্তা নিয়ে ১৯৯৯ সালে বিশ্ব বাজারে আসে ব্ল্যাকবেরি। আর ২০০৮ সালে বেরসকারি মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন এবং ২০১১ সালে এয়ারটেল বাংলাদেশে এই সেবা চালু করে। বর্তমানে এর নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় হাজারের মতো।