
থাইল্যান্ডে গত ২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। শুক্রবার বিবিসিতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
২০০৬ সালে এক সামরিক অভূত্থানে দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক অস্থিশীলতা বিরাজ করছে। রেড শার্ট এবং ইয়েলো শার্টদের পর্যায়ক্রমিক আন্দোলনের মুখে ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে থাকসিনের বোন ইংলাক প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। পরবর্তীকালে তার বিরুদ্ধে থাকসিনের প্রচ্ছায়ার অভিযোগ উঠে।
চলতি বছরের নভেম্বরে তার পদত্যাগের দাবিতে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় জড়ো হলে রাজনৈতিক সংকট আরও জটিল হয়ে পড়ে। থাই প্রধানমন্ত্রি পদত্যাগ না করে ২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের ঘোষণা দেন। কিন্তু আন্দোলনকারীরা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়। পরবর্তীতে আন্দোলনকারীরা ব্যাংকক অবরোধের চেষ্টা করলে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় থাইল্যান্ডে।
এত বিরোধিতা সত্ত্বেও ইংলাক নির্ধারিত দিনেই নির্বাচন সম্পন্ন করেন। কিন্তু বিরোধীদের অবরোধের কারণে কয়কটি স্থানে নির্বাচন অনুষ্ঠানে ব্যর্থ হয় থাই সরকার। পরবর্তীতে ইংলাক সরকার সুষ্ঠ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা দেয় এবং কর্তৃত্ব অক্ষুণ্ন রাখার ইংগিত দেয়। তাই আন্দোলনকারীরা উপায়ন্তর না দেখে সাংবিধানিক আদালতে মামলা ঠুকে দেয়। অবশেষে শুনানি শেষে আদালত ওই নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষিত করলো।
এসময় আদালত জানায়, সমগ্র থাইল্যান্ডজুড়ে একই দিনে নির্বাচন হওয়ার সাংবিধানিক বাধ্যবাদকতা রয়েছে। তাই এই নির্বাচন অবৈধ।
আদালতের এমন রায়ের পর থাই সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোন বিবৃতি পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এবার হয়তো সরে দাঁড়াতেই হবে ইংলাককে।