
আমাদের দেশের পাকা আম পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরও মাস খানেক। তবে, রাজধানীর বাজারে ইতোমধ্যে কিছু পাকা আম উঠতে শুরু করেছে। রীতি অনুযায়ী আমরা সকলে বৈশাখ-জৈষ্ঠকে আম-কাঁঠালের মাস বলে জানি। এ মাসগুলোতে আমের মৌ মৌ গন্ধে বাতাস থাকে সুবাসিত। এখন বৈশাখ-জৈষ্ঠ মাস ছাড়া চৈত্র মাসেও পাকা আম পাওয়া যায়। শুনতে অবাক লাগলেও এখন রাজধানীর অনেক ফলের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে থাইল্যান্ডের পাকা আম।
আর বেশ কিছুদিন আগ থেকে বাজারে আসছে কাঁচা আম। রসনা বিলাসী মানুষ কাঁচা আম কিনেছে নানা রকমের আচার বানানোর জন্য ও ডাল দিয়ে রান্না করে খাওয়ার জন্য।
কিন্তু এখন রাজধানীর প্রায় সকল ফলের দোকানে পাওয়া যাচ্ছে থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশের অনেক পাকা আম। অসময়ে বাজারে এই আম আসায় দাম একটু বেশি। দাম বেশি হলেও শখের দাম তার থেকে আরও বেশি। তাইতো অনেকেই বেশি দাম দিয়ে কিনছেন এই পাকা আম।
থাইল্যান্ডের এই পাকা আমের কেজি ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত। আবার কোনো কোনো সময় এর থেকে বেশি দামে বিক্রি করছে এই ফলটি। মোটকথা, যার কাছ থেকে যা নেওয়া যায়।
ফল ব্যবসায়ী আব্বাস আলী বলেন, আমাদের দেশে আম গাছগুলোতে এখন সবেমাত্র আমের মুকুল আর ছোট ছোট আমের কলি দেখা যাচ্ছে। আর সেখানে এখন পাওয়া যাচ্ছে পাকা আম দাম তো একটু বেশি হবেই। তার ওপর আবার এ ফলটি বিদেশ থেকে আমদানি করা। আর আমদানির জন্য এর দামটা বেশি পড়ে বিধায় আমরা বেশি দামে বিক্রি করছি।
সাইদুল ইসলাম নামের একজন ক্রেতা বলেন, দাম একটু বেশি হলেও অসময়ে পাকা আমের স্বাদটাই আলাদা তাই কিনলাম। এ আমগুলো দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও অনেক মিষ্টি।
এসএস/ এএস