
প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির নথিপত্র পোস্ট করার জের ধরে তুরস্কে টুইটার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যমটির ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর বিবিসির।
গত কয়েকমাস ধরে মন্ত্রীসভার সদস্যদের দুর্নীতি নিয়ে বেশ বেকায়দায় রয়েছে দেশটির ক্ষমতাসীন সরকার। দরপত্র জালিয়াতির অভিযোগে গত ডিসেম্বরে তিন প্রভাবশালী মন্ত্রী পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেও সে যাত্রায় বেঁচে যান প্রধানমন্ত্রী রিসেপ এরদোগান। কিন্তু বিধি-বাম সাজে টুইটার ব্যবহারকারীরা। তারা মাধ্যমটিতে প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির প্রমাণ নথিসহ পোস্ট করতে থাকে।
বিষয়টি টের পেয়ে এরদোগান টুইটার অপনোদনের ঘোষণা দেন এবং বৃহস্পতিবার থেকে সাইটটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইউরোশিয়ার এ দেশটিতে প্রায় এক কোটির মত টুইটার ব্যবহারকারী রয়েছে।
টুইটার ব্যবহারকারীরা জানান, তারা বারবার ‘টুইটার.কম’ ওয়েব সাইটটি খোলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।
তুর্কি প্রধানমন্ত্রী অবশ্য ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন এই বলে যে, তুরস্ক সরকারের ক্ষমতা টের পাবে টুইটার।
উল্লেখ্য, দেশটির প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক সম্পর্কে অপমানজনক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করায় ২০১০ সালে ইউটিউবও বন্ধ করে দিয়েছিল দেশটির সরকার।