
১. শুরুতেই গাড়ি কেনার আগে অবশ্যই আপনাকে বাজেট ঠিক করতে হবে। আপনি কী ধরনের গাড়ি কিনতে প্রস্তুত আছেন, সেটি বুঝতে হবে।
২. নতুন গাড়ি কেনার সময় অবশ্যই নির্দিষ্ট এবং নির্ভরযোগ্য শোরুম থেকে কিনবেন। কেননা, পরবর্তীতে যে কোন প্রয়োজনে সেখানে যোগাযোগ করার অধিকার থাকে।
৩.গাড়ি কেনার সময় অবশ্যই ব্যক্তিগত পছন্দকে প্রাধান্য দিন। কারও কথার ওপর ভিত্তি করে গাড়ি কিনবেন না। নিজেই কাগজপত্র যাচাই করে নিন। আর মডেল নির্বাচনের সময় গাড়ির বডির ডিজাইনের প্রাধান্য না দিয়ে, প্রাধান্য দিন বেশ কিছু সিস্টেমের ওপর। প্রথমেই খেয়াল করুন গাড়ির রি-সেইল ভ্যালু। এর উপর ভিত্তি করে গাড়ির মডেল বাছাই করুন।
৪. যারা শখের বসে গাড়ি কেনেন, পরে আবার ডিজাইন চেঞ্জ করেন। তাদের ক্ষেত্রে বলা যায়, খেয়াল রাখবেন পরে বিক্রি করলে ক্রেতা যেন এতে আকৃষ্ট হয়।
৫. বিভিন্ন বিষয় আছে যেগুলো নিখুঁতভাবে খেয়াল করতে হবে। যেমন_ গাড়িটিতে অরিজিনাল রঙ রয়েছে কি-না। নিশ্চিত হয়ে নিন চেসিস নম্বর, ইঞ্জিন নম্বর, তৈরির সাল সম্পর্কে। এছাড়া ইঞ্জিনের গতি কত অর্থাৎ ঘণ্টায় গাড়িটি কত কিলোমিটার চলেছে এবং এর অতীত ইতিহাস ইত্যাদি বিষয় ভালো করে জেনে নিন।
৬. যদি পছন্দের গাড়িটি হয় রিকন্ডিশনন্ড। তবে গাড়ি কেনার সময় অবশ্যই কিছু ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। যেমন_ এ ধরনের গাড়িতে অনেক ধরনের ত্রুটি থাকে। সেগুলোর আসলেই সমাধান হয়েছে কি-না জেনে নিতে হবে। যদি সম্ভব হয় তাহলে অভিজ্ঞ কাউকে সঙ্গে নিতে পারেন।
৭. আপনি গাড়িটি কী কাজে ব্যবহার করবেন সেই বিষয়ের ওপর নির্ভর করে গাড়ির সিসি নির্বাচন করুন। কারণ গাড়ি কেনার কথা উঠলেই প্রথমেই প্রশ্ন আসবে কত সিসির গাড়ি কিনবেন।
৮. যদি আপনি গাড়িটি ব্যবহার করতে চান শুধু প্রতিদিনের যাতায়াতের কাজে, তবে এক্ষেত্রে ৮০০ সিসির গাড়ি কিনতে পারেন।
৮. যদি আপনি গাড়িটি ব্যবহার করতে চান শুধু প্রতিদিনের যাতায়াতের কাজে, তবে এক্ষেত্রে ৮০০ সিসির গাড়ি কিনতে পারেন।
৯. যদি আপনি হন ভ্রমণপিপাসু, তবে কিনতে পারেন এক হাজার কিংবা তার বেশি সিসির গাড়ি। তাহলে আপনি লংড্রাইভে যেতে পারবেন।
১০. তবে আপনি চাইলে গাড়িকে সিএনজিতে রূপান্তর করে নিতে পারেন। তাহলে আপনার খরচ কমে আসবে। আমাদের দেশের জনসংখ্যা এবং প্রয়োজনের তাগিদে ১৫০০ সিসির ওপরে গাড়ির প্রয়োজন নেই।
১১. গাড়ির বিভিন্ন সুবিধা থাকে অথবা কী কী সুবিধা আপনি চান, তা ঠিক করুন। যেমন_ গাড়িভেদে বিভিন্ন সুবিধা পেতে পারেন। এগুলো হলো_ নেভিগেশন, ক্যামেরা, স্পয়লার, সানরুফ, বডি কিট, ইন্টেরিয়র, ডিভিডি, টিভি ইত্যাদি।