
রোববার মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আর এজন্য আজ মধ্যরাত থেকেই সকল প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ সেখানে। তাই শেষ মুহূর্তে ব্যাপক প্রচারণায় ব্যস্ত প্রার্থীরা।
উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে আমিরুল ইসলাম (মোটরসাইকেল) রেফায়েত উল্লাহ খান তোতা দোয়াতকলম এবং মনছুর আহম্মদ খান জিন্না (টেলিফোন)।
বিএনপি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আলহাজ্ব মুহাম্মদ মুজিবুর রহমান (আনারস) ও আবদুল মান্নান দেওয়ান মনা (ঘোড়া)।
জাতীয় পার্টি থেকে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে আলহাজ্ব কলিম উল্লাহ (কাপপিরিচ)।
একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় হাড্ডা-হাড্ডি লড়াই চলছে প্রার্থীদের মধ্যে। গ্রাম-গঞ্জে, হাট-বাজারে, ঘরে-দুয়ারে গিয়ে নানা প্রতিশ্রুতিতে চলছে প্রচারণা। কেউ কেউ কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে গনসংযোগ করছে হাট-বাজারে।
তবে নির্বাচন সুস্থ্য হবে কিনা তা নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছে প্রার্থী ও ভোটাররা। প্রশাসনের জোরে কিংবা ভাড়া করা মাস্তানদের দিয়ে কেন্দ্র দখল, ভোট কারচুপি, জালিয়াতির ঘটনা ঘটবে বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন প্রার্থী। অপরদিকে নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে ভোট দিতে যেতে পরবে কিনা তা নিয়েও অনিশ্চয়তায় ভোগছে সাধারন ভোটাররা।
কোনো কোনো প্রার্থীর লোকজন তাদের প্রার্থীকে ভোট না দিলে ঘর-বাড়ি ভাংচুরসহ নানাভাবে ভয়-ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এলাকার কিছু সাধারন ভোটার।
গজারিয়া উপজেলাতে নির্বাচনের সকল প্রকার নাশকতা এড়াতে এবং সুস্থ্য নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখতে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ, রেব ও সেনা বাহিনী। নির্বাচনী প্রত্যন্ত অঞ্চলে টহল দিচ্ছে নিরাপত্তাকর্মীরা।