
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নির্দেশে সম্পদ বিবরনী জমা দিলেন সরকার দলীয় ও কক্সবাজারের ৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ১টার দিকে আব্দুর রহমান বদী সম্পদ বিবরনী জমা দেন।
দুদকের উপ পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আব্দুর রহমান বদি নিজেই দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তার সম্পদ বিবরনী জমা দেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আব্দুর রহমান বদির পরিবারসহ নিজের আয়ের উৎস ও সম্পদ বিবরণী জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় দুদক।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নামে বেনামে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়া ও হলফ নামায় প্রদত্ত সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দুদক। তখন তিনি অভিযোগ প্রমানিত হলে সংসদ পদ ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
ইসির কাছে দেওয়া বদির হলফনামার তথ্য অনুসারে, জীবনে প্রথম সাংসদ হওয়ার পর পাঁচ বছরে তার আয় বেড়েছে ৩৫১ গুণ। আর নিট সম্পদ বেড়েছে ১৯ গুণেরও বেশি। অভিযোগ রয়েছে, হলফনামায় বদির কেবল আয়কর বিবরণীতে প্রদর্শিত অর্থ ও সম্পদের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি গত পাঁচ বছরে আয় করেছেন ৩৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪০ টাকা। টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ও টেকনাফে জ্বালানি তেলের ব্যবসা করে এ টাকা অর্জন করেছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তিনি। হলফনামা অনুসারে এমপি বদির বার্ষিক আয় সাত কোটি ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার ৮০৮ টাকা। আর বার্ষিক ব্যয় দুই কোটি ৮১ লাখ ২৯ হাজার ৯২৮ টাকা।
এর আগে ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জমা দেওয়া হলফনামায় বলেছেন, তখন তার বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৪৮০ টাকা। আর ব্যয় ছিল দুই লাখ ১৮ হাজার ৭২৮ টাকা। তখন (২০০৮) বিভিন্ন ব্যাংকে আবদুর রহমান বদির মোট জমা ও সঞ্চয়ী আমানত ছিল ৯১ হাজার ৯৮ টাকা। পাঁচ বছরের মাথায় এসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট কোটি পাঁচ লাখ ১০ হাজার ২৩৭ টাকা। তার হাতে ২০০৮ সালের নভেম্বরে নগদ টাকা ছিল দুই লাখ সাত হাজার ৪৮ টাকা। আর এখন ৫০ লাখ টাকা। এ ছাড়া এখন স্ত্রীর কাছে নগদ টাকা আছে ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ২৬৫ টাকা।
আয়কর বিবরণীতে তিনি দেখিয়েছেন সাত কোটি ৩৭ লাখ ৩৭ হাজার ৮০৮ টাকা। আর নিট সম্পদের পরিমাণে বলা হয়েছে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৫৬৩ টাকা। পাঁচ বছর আগে ২০০৮ সালের আয়কর বিবরণী অনুসারে, তখন তার বার্ষিক আয় ছিল দুই লাখ ১০ হাজার ৮৮০ টাকা। আর নিট সম্পদ ছিল ৪৭ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৩ টাকার।
এইউ নয়ন/এসএম