
সরকারি ব্যাংকগুলোর জন্য শিগগিরই স্বতন্ত্র বেতন কাঠামো অনুমোদন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে জনতা ব্যাংক লিমিটেডের বার্ষিক সম্মেলন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ব্যাংকিং খাতকে আরও কার্যকর করে গড়ে তোলার জন্য শিগগিরই ব্যাংকগুলোর আলাদা বেতন কাঠামো অনুমোদন করা হবে। এবিষয়ে প্রায় সব কাজই ইতোমধ্যে গুছিয়ে আনা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে বেসরকারি অংশীদারিত্ব বাড়ানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে একমাত্র রূপালি ব্যাংক বাদে আর সব ব্যাংকের বেসরকারি অংশীদারিত্ব কম। এ কারণে রাষ্ট্রীয় মালিকানার ব্যাংকগুলোকে বেসরকারি অংশগ্রহণ বাড়ানো হবে। এবং সেটা এ সরকারের আমলেই করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ব্যাংকের শহর ও গ্রামের লভ্যাংশ এক রকম হয় না। এ কারণে গ্রামাঞ্চলের ব্যাংকগুলোর সেবাকে সামাজিক দায়(সিএসআর)হিসেবে বিবেচনার প্রস্তাব করেন।
ব্যাংকিং খাতে গতি আনতে ব্যাংকগুলোতে প্রযুক্তির ব্যবহার আরও বাড়ানোর পরামর্শও দেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়লে আন্ত:ব্যাংক লেনদেন তাৎক্ষণিক ভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। বিশ্বের অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদিকে জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত রাষ্ট্রায়ত্ত্ ব্যাংকগুলোকে বেসরকারি খাতে দেওয়ার বিরোধীতা করেন। তিনি বলেন, সরকারি ব্যাংকগুলো যদি বেসরকারি খাতে দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে কিছু লোক এর সুবিধা পাবে। আগামি ৫ বছরের মধ্যে এসব লোক ফুলে ফেপে সব ব্যাংকের মালিক হয়ে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সোনালী ব্যাংকের সিএসআর কার্যক্রমে টাকা অন্যখাতে চলে যাচ্ছে ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় খাতের সব চেয়ে বড় ব্যাংক হলো সোনালী ব্যাংক। অথচ ব্যাংকটির সিএসআর ব্যয় ধরা হয়েছে মাত্র ২ কোটি টাকা। আর এ ব্যয়ের একটি বড় অংশ ব্যাংকের সিবিএ নেতাদের কল্যাণে চলে যায়। জনতা ব্যাংকের ২০০৯ সালে সিএসআর ব্যয় ছিল ২৫ লাখ টাকা ২০১৩ সালে তা করা হয়েছে ৩০ কোটি টাকা এবং ২০১৪ সালে এ ব্যয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ কোটি টাকা। এর একটি বড় অংশ মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয় করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের পরিচালক মো. ইমদাদুল হক,নাগিবুল ইসলাম দীপু, ড. আর এম দেবনাথ, সৈয়দ বজলুল করিম বিপিএম, অধ্যাপক মোহাম্মদ মঈনুদ্দীন, মো. আবু নাসের, সঙ্গীতা আহমেদ, অধ্যাপক ড. নিতাই চন্দ্র নাগ, এ কে এম কামরুল ইসলাম এফসিএ ও মো. এহাবুবুর রহমান হিরণ এবং ব্যাংকের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ আরও অনেকে।
এসএই/