
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জীববিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে “ডিএনএ প্রোফিলিং টেকনোলজী ইন ম্যাস ডিজ্যাস্টার ভিক্টিম আইডেনটিফিকেশন, দি রানা প্লাজা এক্সপেরিয়েন্স” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জীববিজ্ঞান অনুষদ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাবি প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বন্যা, সাইক্লোনসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সফল অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু ভূমিকম্পেরমত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় আমাদের তেমন অভিজ্ঞতা নেই।
তিনি সাম্প্রতিক রানাপ্লাজা দুর্ঘটনার চিত্র তুলে ধরে বলেন, এ ধরণের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন দরকার।
মূল প্রবন্ধে প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবং ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরির উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শরীফ আখতারুজ্জামান বলেন, রানাপ্লাজা দুর্ঘটনা স্থল থেকে মোট ২ হাজার ৫শ ১৫ জনকে জীবিত এবং ১হাজার ১শ ৩৪ জনকে মৃত উদ্ধার করা হয়েছিল। এর মধ্যে ডিএনএ টেস্ট ছাড়াই ৮শ জনের লাশ পরিবার নিকট হস্তান্তর করা হয়।
তিনি বলেন, ডিএনএ টেস্টের জন্য ৩২২টি মৃতদেহ ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে আনা হয়। লাশগুলো শনাক্ত করতে হতাহত পরিবারের সদস্যদের মধ্য থেকে ৫৬১ জনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২শ জনের লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয় এবং সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে তা হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এই প্রক্রিয়ায় আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে আরও ১০জনের লাশ শনাক্ত করা যাবে। তবে ডিএনএ নমুনার অভাবে অবশিষ্ট ১১২টি লাশ শনাক্ত করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিকে স্বজনদের লাশ পাননি বলে অনেক পরিবার এখনও দাবি জানিয়ে আসছেন। তিনি বলেন, প্রথম থেকেই নিহত সকলের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করার পর লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হলে এ ধরণের বির্তক থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যেত।
জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হকের সভাপতিত্বে এ সময় অনুষ্ঠানে বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এএইচ/সাকি