
শুধুমাত্র আন্তরিকতা ও সদিচ্ছার অভাবে ব্যাহত হচ্ছে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা। এখানে চিকিৎসা নিতে এসে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে রোগীরা। রোগীদের অভিযোগ সরকারি হাসপাতাল হওয়া সত্ত্বেও সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ব্যবস্থা থাকলেও সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয় প্রাইভেট ক্লিনিক হতে।
ভুক্তভোগী মো. মরন আলী বলেন, নামে মাত্র সরকারি হাসপাতাল, প্রতি কথায় টাকা চায় নার্স ও কর্মচারীরা। নার্সদেরকে ডাকলে তারা সহজে ডাকে সাড়া দেয় না। বরং বাজে ব্যবহার করে।
এব্যাপারে মো. লিয়াকত আলী বলেন, এ হাসপাতালে আজকে ৮ দিন যাবৎ চিকিৎসা নিচ্ছি। অনেক চেষ্টা করেও কেবিন নিতে পারিনি। অথচ পরে এসে যারা টাকা দিয়েছে তারা কেবিন পেয়েছে। নার্সদের সেবার কথা বলতে গিয়ে তিনি ক্ষোভে বলেন, নার্সরা যেন মানুষের শরীরে সুঁই দেয় না, পশুর শরীরে দেয়। কারণ সুঁই দেওয়ার পর প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘অহন আর কি করমু গরীব হইছি যহন কষ্ট করেই মরতে অইবো’। শিশু বিভাগের এক রোগীর অভিভাবক বলেন, ডাক্তারতো দুরের কথা একজন নার্সকে ডাকলে ১ ঘণ্টার আগে সাড়া দেয় না। আরো অভিযোগ করে বলেন, এখান থেকে কোন ঔষুধতো পাইনা বরং প্রাইভেট ক্লিনিক থেকে পরীক্ষা করতে হয়। সিনিয়র নার্সদের যোগসাজসে কিছু দালাল পার্শ্ববর্তী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে থাকেন। সকল পরীক্ষার সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এরুপ ঘটনা ঘটছে।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের প্রধান সহকারী মো. সফিউল আলম বলেন, কিছু কিছু ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই দুর্বলতা রয়েছে এবং এ দুর্বলতার পিছনে অন্যতম কারণ আমাদের জনবল সংকট। যেখানে ৬৪জন চিকিৎসকের মধ্যে ২৪ জনের পদ শুন্য, তাই চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যাপারে বলেন শুধু মাত্র ডিজিটাল এক্সরে ছাড়া আমাদের এখানে পরীক্ষা করার সকল ব্যবস্থা আছে। কেউ যদি দালালের খপ্পরে পড়ে অন্যত্র পরীক্ষা নিরীক্ষা করে থাকে। সে ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই। তবে সরজমিনে দেখা যায়, অনেক চিকিৎসককে চেম্বারে নেই। এ ব্যাপারে প্রধান সহকারী পরিচালন বলেন, কয়েকজন অপারেশন থিয়েটারে আছেন এবং কেউ কেউ ছুটিতে আছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা ভুক্তভোগিদের দাবি নার্সদের এমন আচরণ চিকিৎসা সেবার পরিপন্থী। অচিরেই তারা চায় এ সমস্যার যেন সমাধানের লক্ষ্যে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ দৃষ্টি রাখেন।
সাকি/