
এমারেল্ড অয়েল কোম্পানির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীরা যে আগ্রহ দেখিয়েছেন, তা ধরে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে কোম্পানটি। আর তা করা হবে পণ্যের মান উন্নয়ন ও ব্যবসা সম্প্রসারণের নিরন্তর চেষ্টার মাধ্যমে। এমন প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কোম্পানিটির শীর্ষ কর্মকর্তারা। আর এ প্রতিশ্রুতি দিয়ে শেয়ার বাজারে লেনদেন চালু হল এমারেল্ড অয়েল কোম্পানির।
দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে একযোগে এমারেল্ড অয়েলের লেনদেন শুরু হয়েছে আজ বুধবার সকাল সাড়ে দশটায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের কনফারেন্স রুমে ডিএসই ও কোম্পানিটির মধ্যে তালিকাভুক্তির চুক্তি এবং শেয়ারের লেনদেন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, এমারেল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাছিবুল গণি গালিব,পরিচালক এএসএম মুনিরুল ইসলাম,পরিচালক স্বজন কুমার বসাক, পরিচালক অমিতাব ভূমি, কোম্পানির সচিব মেহেরুন্নেসা রোজী এবং প্রধান অর্থ কর্মকর্তা শামসুল আরেফিন।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা স্বপন কুমার বালা, চিফ রেগুলেটরি অফিসার এ কে এম জিয়াউল হাসান খান এবং কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপক কোম্পানি অ্যালায়েন্স ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের আব্দুল্লা সালেহ আরেফিন।
বুধবার ডিএসইতে এমারেল্ড অয়েলের শেয়ারের প্রথম লেনদেনটি হয় ৫২ টাকা দরে।
এর আগের রোববার কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে আইপিও’র লটারিতে শেয়ার বরাদ্দ পাওয়া বিনিয়োগকারীদের হিসাবে শেয়ার জমা করে।
উল্লেখ,গত ১৯ ডিসেম্বর এমারেল্ড অয়েলের আইপিও অনুমোদন করে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত ৬ জানুয়ারি শুরু হয় এর শেয়ারের জন্য আবেদনপত্র ও টাকা জমা নেওয়া। আর ৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় আইপিওর লটারি।
উল্লেখ্, কোম্পানিটি ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসে ২০১১ সালের জুলাইয়ে। এটি ধানের তুষ থেকে ভোজ্য তেল উৎপাদন করে,যাকে বলা হয় রাইস ব্যান অয়েল। ওই তেল স্পন্দন ব্র্যান্ডে বাজারজাত করছে কোম্পানিটি।
আইপিওতে কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ২ কোটি শেয়ার ছেড়ে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে। আইপিও’র খরচ মেটানোর পর বাকী অর্থ দিয়ে কোম্পানির মেয়াদি ঋণ পরিশোধ ও চলতি মূলধনের চাহিদা মেটানোর কথা।
২০১৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী,এমারেল্ড অয়েল ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ারপ্রতি আয় ২ টাকা ৮৫ পয়সা ও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য ১৪ টাকা ৬ পয়সা।
অর্থসূচক/এসএ/এমআরবি/