
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নিম্ন আদালতে এসেছেন।
বিশেষ জজ আদালতে মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি শুরু হয়েছে।
এদিকে বিএনপিপন্থী আইনজীবী সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি চেয়ারপার্সনের পক্ষ থেকে আবারও সময়ের আবেদন করবেন তার আইনজীবীরা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বেগম জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার জানান, কোনো মামলার প্রস্তুতিগত সমস্যা কিংবা মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতে চ্যালেঞ্জ করলে সময়ের আবেদন করা হয়ে থাকে। এই মামলার বিশেষ বিষয় হলো এ মামলার কার্যক্রম নিয়ে উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত পেন্ডিং আছে।উচ্চ আদালতে কোনো আবেদন পেন্ডিং থাকলে, হায়ার কোর্টের সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত নিম্ন আদালত অপেক্ষা করবে। এটা উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত, এটাই আইনের বিধান।
উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত নিষ্পত্তি কখন হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত যখনই আসুক আমরা আইনসম্মতভাবেই সময়ের আবেদন করেছি। উচ্চ আদালতে এই মামলা নিস্পত্তি হলে আমরা আইনসম্মতভাবেই এগুবো। সময়ের আবেদন করার অধিকার আমাদের আছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক হারুনুর রশিদ। এছাড়া ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় দায়ের করা হয় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা।
এর আগে বিভিন্ন কারণে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এ পর্যন্ত ৪১ বার ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ১১ বার চার্জ শুনানি জন্য সময়ের আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় তারেক রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া হাজিরা প্রদান করেন। অপর দুই আসামি হচ্ছেন, কাজী সলিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদ।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অপর আসামিরা হলেন- জিয়াউল ইসলাম মুন্না, মনিরুল ইসলাম খান ও খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী। তবে হারিছ চৌধুরী এ মামলায় বরাবর পলাতক।
এমআর/কেএফ