
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাশঁগাড়ী ইউনিয়নের ভবানী শংকর গ্রামের শাজাহান হাওলাদার নামে এক প্রতারক বয়স্ক ও প্রতিবন্ধি ভাতা দেওয়ার নামে অর্ধশত লোকের সাথে প্রতারণা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার খাশেরহাট বাজারে ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে এ ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়।
ভুক্তভোগিরা জানায়, কালকিনি উপজেলার ভবানী শংকর গ্রামের আব্দুল মন্নান হাওলাদারের ছেলে শাজাহান হাওলাদার নিজে ফরিদপুর একটি সোনালী ব্যাংকে চাকুরী করেন বলে পরিচয় দিয়ে পাশের উত্তর উড়ারচর গ্রামের ইসমাইল হাওলাদারের স্ত্রী মাসুদা বেগম (৬০), আহম্মাদ হাওলাদারের ছেলে আনোয়ার হোসেন হাওলাদার (৬৫), ভবানী শংকর গ্রামের রশিদ ব্যাপারীর স্ত্রী সালেহা বেগম (৬৫), সোনা মিয়ার ছেলে রব ব্যাপারী (৭০), নাসির ব্যাপারীর ছেলে বাক-প্রতিবন্ধি কামাল হোসেনসহ প্রায় অর্ধশত বয়বৃদ্ধর কাছ থেকে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদেরকে সমাজসেবা অধিদপ্তরের পাশ বই, সোনালী ব্যাংক ফরিদপুর শাখার রশিদ, শরিয়তপুর জেলার বাকপ্রতিবন্ধির সনদপত্র ও টাকা উত্তোলনের চেক দিয়ে এই প্রতারণা করেন। ভুক্তভোগিরা বুধবার খাশেরহাট ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে এই প্রতারণা ধরা পড়ে।
প্রতারণার শিকার সালেহা বেগম ও আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের পাশের গ্রামের ছেলে শাজাহান। সে আমাদের গ্রামে অনেকগুলো পাশবই, সমাজসেবা অফিসের নামে এনে বলে- আমাদের বয়স্ক ভাতা দিবে তবে আমাদের কাছে জন প্রতি ৫ হাজার টাকা দাবি করে। কেউ ৩ হাজার কেউ ৫ হাজার টাকা দিয়ে তাদের নাম অর্ন্তভুক্ত করেন। আমরা টাকা তুলতে গিয়ে জানতে পারি সে আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে।
বাশঁগাড়ী ইউনিয়ন সচিব আকন মোশারফ হোসেন বলেন, বুধবার যারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন তারা এসে ছিলেন টাকা উত্তোলন করার জন্য। কাগজপত্র জাল ভেবে আমি ইউএনও স্যারের নিকট দিয়েছি।
কালকিনি উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, এ ধরণের প্রতারণার অভিযোগ পেলে আমরা প্রতারকের বিরুদ্ধে মামলা করবো।
কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ ফজলে আজিম জানান, প্রতারণা করে যে টাকা উত্তোলন করেছে তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে বলা হয়েছে।
এএসএ/সাকি